কয়রায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত

এখন সময়: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল , ২০২৪, ০৫:৩৮:০৬ পিএম

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, (কয়রা) খুলনা: খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চরামুখা গ্রামে কপোতাক্ষ নদের জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন পার্শ্ববর্তী উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের ৩ গ্রামের মানুষ ও দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নবাসী।

সরেজমিনে জানা গেছে, শনিবার রাতে কপোতাক্ষ নদের অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে দুর্বল বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। জোয়ারের পানি যতই নামতে থাকে প্রথমে বড় চর ও বেড়িবাঁধ তত দ্রুত ভাঙতে থাকে।  মুহূর্তের মধ্যে প্রায়  ৩০০ মিটার বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হযে যায়। সকালে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে মেরামতের চেষ্টা করলেও দুপুরের জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মুহূর্তের মধ্যে প্লাবিত হয় চরামুখা, দক্ষিণ বেদকাশী, চরামুখা গাইনবাড়ী, হলুদবুনিয়া, পদ্মপুকুর ও ঘড়িলাল গ্রামের একাংশ। 

ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর ও বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের সভাপতি মুকুল বিশ্বাস বলেন, পূর্ণিমার কারণে সৃষ্ট প্রবল জোয়ারের স্রোতে খুলনার উপকূলবর্তী এলাকা কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চরামুখা নামক স্থানে কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী বেড়িবাঁধের প্রায় ৩০০ মিটার বাঁধ ভেঙে পাঁচ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে এবং কয়েকশ’ একর মৎস্য ঘের ডুবে গেছে। তাৎক্ষণিক মনিটরিং কমিটি করা হয়েছে। ওই মনিটরিং কমিটির তত্ত্বাবধানে বিকালে এলাকার লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমে রিংবাঁধ দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করা হবে। যদি আটকানো সম্ভব না হয় তাহলে পুরো ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলেও জানান তারা। এ নিয়ে এলাকার হাজারো মানুষ আতঙ্কে আছেন।

দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ইউপি সদস্য খোকন সরদার ও মোজাফফর হোসেন বলেন, বেড়িবাঁধ দুর্বল থাকার কারণে জোয়ারের চাপে ভেঙে গেছে। আমরা চেষ্টা করেছি কিন্তু সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। না হলে ভাঙন প্রবল আকার ধারণ করবে। পুরো দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে যাবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী (পুর) মশিউল আবেদীন বলেন, ওখানকার বাঁধ দুর্বল ছিল। জাইকার অর্থায়নে কাজ চলমান ছিল। অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্রায় ৩০০ মিটারের মতো বাঁধ ভেঙ্গে ক্লোজার তৈরি হয়েছে। আমরা ভাঙনকবলিত স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে। পানি আটকাতে ইতোমধ্যে বাঁশ, সিনথেটিক বস্তা, পেরেক  সরবরাহ করা হয়েছে। ভাঙন যদি আরো গভীর না হয়, আশা করা যায় আগামীকালের ভেতর পানি আটকানো সম্ভব হবে।