ফের ইবি’র দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

এখন সময়: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল , ২০২৪, ০১:৫৪:০৬ পিএম

ইবি প্রতিনিধি : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইট ও লাঠি দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে রাজিব ও সুজন নামের দুই স্থানীয় যুবকের বিরুদ্ধে। গত বুধবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শেখপাড়া বাজারে চা খেতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক আতিয়ার রহমান।
ভুক্তভোগীরা হলেন অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইয়াসির আরাফাত অভি এবং ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুদাচ্ছির রহমান।
শেখপাড়া বাজারে চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে রাজিব ও সুজন কথা বলছিলো। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অভি ও মুদাচ্ছির তাদের মাঝ দিয়ে হেঁটে যায়। এমতাবস্থায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে অভিকে ডাকেন। অভি এর জন্য তাদের নিকট ক্ষমা চান। কিন্তু হঠাৎ তারা অভিকে চড়-থাপ্পড়সহ এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করেন। একপর্যায়ে পাশে থাকা ইট ও লাঠি নিয়ে তাকে আঘাত করেন। মুদাচ্ছির বাধা দিতে গেলে সেও হাতে আঘাত পায়। পরে অভিকে আহতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে পাঠানো হয়।
 চিকিৎসা কেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. এস এম শাহেদ হাসান বলেন, অভির পিঠে ও বাম চোখে আঘাত লেগেছে। চিকিৎসা কেন্দ্রে আসার পর আমরা তাকে প্রথমিক চিকিৎসা দিয়েছি।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাজিবের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি।
সহকারী প্রক্টর ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগপত্র প্রক্টরের কাছে পাঠানো হয়েছে। স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি।
এর আগে, গত ২৪ মার্চ বাসে জিনিসপত্র রাখা নিয়ে বাসের কন্টাক্টরের সাথে বাকবিতন্ডা হয় শিক্ষার্থীদের। শেখপাড়া বাজারে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা হেলপারের উপর চড়াও হয়। পরে সে দোকানে ঢুকলে তাকে বের করতে গেলে দোকানদারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ওই দোকানদার শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে। এসময় শিক্ষার্থীরের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ২ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হওয়াসহ প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
এছাড়া গতবছর ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তার নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের মেসে হামলা চালায় স্থানীয়রা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গুরুতর জখমসহ পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়।