লোহাগড়ায় ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণকারী সোহাগের বিরুদ্ধে মামলা

এখন সময়: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল , ২০২৪, ১২:৩৯:০৭ পিএম

মাহফুজুল ইসলাম মন্নু, লোহাগড়া : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চাচই গ্রামের সোহাগ কাজীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি ও নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে  মামলা করেছেন এক নারী। সোহাগ কাজী উপজেলার জয়পুর গ্রামের মুনছুর কাজীর ছেলে। গত ২৩ জুলাই এই মামলা করা হয়।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, বাদী তার মেয়েকে নিয়ে জয়পুর ইউনিয়নের আড়িয়ারা গ্রামে বসবাস করেন। তার স্বামী একটি ওষুধ কোম্পানীতে চাকুির করেন। ওই নারী তার মেয়েকে স্কুলে আনা নেয়ার পথে অন্য এক নারী শিরিনার সাথে পরিচয় হয় ২০১৯ সালে। পরে শিরিনার কাছ থেকে শিরিনার চাচাত ভাই সোহাগ বাদীর মোবাইল নম্বর নিয়ে সোহাগ ফোন করে বাদীকে প্রেমের প্রস্তাব ও কুপ্রস্তাব দেয়। বাদী ওই সমস্ত প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় বাদীকে সোহাগ নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখায়। এর মধ্যে ২৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সোহাগ ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে বাদীর মেয়েকে অপহরণ করার ভয় দেখিয়ে বাদীকে ধর্ষণ করে ও তার ভিডিও চিত্র ধারন করে। তার ১০ থেকে ১২ দিন পর ধর্ষক সোহাগ কাজী ধর্ষনের ভিডিও বাদীর মোবাইল ফোনে পাঠিয়ে দিয়ে বলে তার সাথে শারিরিক সম্পর্ক না করলে ওই ভিডিও চিত্র তার স্বামীকে এবং অন্য মোবাইলে ছেড়ে ভাইরাল করার হুমকি দেয়। এ ভাবে ওই ভিডিওর ভয় ও বিভিন্ন ভয় দেখিয়ে বাদীকে আবারও ধর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে লম্পট সোহাগ ২০২১ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারী বাদীর স্বামীর মোবাইলের ম্যাসেঞ্জারে ওই ধারন করা ভিডিও পাঠিয়ে দেয়।পরে বাদীর স্বামী বাড়িতে এসে বাদীকে তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। সোহাগ বাদীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লোহাগড়ার একটি ভাড়া বাড়িতে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে সোহাগ বাদীকে দিয়ে তার পূর্বের স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা আদায় করে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ভাবে ব্লাকমেইল করে বাদীর কাছ থেকে ৩ ভরি স্বর্ণ ও নগদ টাকা হাতিয়ে নেয় সোহাগ । পুনরায় ওই ভিডিওর ভয় দেখিয়ে বাদীর নিকট টাকা দাবী করে। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে গত ২৩ জুলাই(২০২২) ওই নারী বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে লোহাগড়া  থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১২/১৪১।
মামলার পর সোহাগ গা ঢাকা দিয়েছে। এ বিষয়ে সোহাগের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আপনারা এসব নিয়ে নিউজ কইরেন না। বিয়ের কাগজপাতি থানায় পাঠিয়ে দিয়েছি। বিষয়টি মিমাংশার চেষ্টা চলছে। 
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু হেনা মিলন মামলা হওয়ার বিষয় নিশ্চিত করে বলেন বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।