স্যার পিসি রায় ছিলেন বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞানী : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

এখন সময়: শনিবার, ২০ এপ্রিল , ২০২৪, ০১:৪৫:৪৮ পিএম

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী স্যার পিসি রায় ছিলেন বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞানী। তিনি জ্ঞান বিজ্ঞানের সাথে যুক্ত হয়ে শিল্প উৎপাদন করে জগতে খ্যাতি কুড়িয়েছেন। জ্ঞানই হলো উৎপাদনের প্রধান শক্তি। এ শক্তি ব্যবহার করে বিজ্ঞানী পিসি রায় বিজ্ঞানের সকল শাখায় নিজেকে যুক্ত করে একাধারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে বাঙালি জাতিকে বিশ্বের মাঝে তুলে ধরেছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করে জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

 মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার রাড়ুলিতে বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের ১৬১তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু । সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসন (বিপিএম), উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার ইকবাল মন্টু, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম মুনিম লিংকন, আচার্য পি.সি রায় স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, পাইকগাছা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ, পাইকগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. জিয়াউর রহমান জিয়া, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দীন ফিরোজ বুলু, রাড়ুলী ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবুল কালাম আজাদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হাওলাদার প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম। আলোচনা সভায় বক্তারা বিজ্ঞানীর নামে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, বসতবাড়িকে পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণা, বিজ্ঞানীর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, পাঠ্যপুস্তকে বিজ্ঞানীর জীবনী সম্পর্কিত অধ্যায় অন্তর্ভূক্ত, জাদুঘর ও সংগ্রহশালা স্থাপনসহ বিভিন্ন দাবি করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিবৃন্দ বিজ্ঞানীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করার মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান এবং এসময় আমিরুল ইসলাম নির্মিত পি.সি রায়ের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে আলোচনা সভা শেষে রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সর্বশেষ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, এদিন সকাল ১০টায় প্রতিমন্ত্রী খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলাধীন কপিলমুনি বধ্যভূমি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা গুরুদাসী মাসীর বাড়ি পরিদর্শন করে পাইকগাছা উপজেলা আ.লীগের দলীয় কার্যালয় পরিদর্শন ও দলীয় নেতৃবৃন্দদের সাথে মতবিনিময় করেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় কয়রা মসজিদকুড় পীর খানজাহান আলী (র:) মসজিদ, আমাদী দীঘি, কাবাড়ীপাড়া কালিমন্দির পরিদর্শন শেষে মসজিদকুড় পীর খানজাহান আলী (র:) মসজিদ প্রাঙ্গনে অনুষ্টিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত দলীয় নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষের সাথে মতবিনিময় করেন।