স্পন্দন ডেস্ক: বিজিবি সদস্যরা আলাদা অভিযানে যশোরের শার্শার কায়বা সীমান্ত ও ঝিনাইদহের মহেশপুর থেকে মোট ১৬ টি সোনারবারসহ দুইজনকে আটক করেছে।
শার্শা প্রতিনিধি জানান, মঙ্গলবার ১ কেজি ১শ’ ৮ গ্রাম ওজনের ১০ টি সোনার বারসহ হাসানুজ্জামান আটক হয় কায়বা সীমান্ত থেকে। আটক হাসানুজ্জামান (২২) পুটখালী গ্রামের মাহবুবুর রহমানের ছেলে।
বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি যশোরের পুটখালী সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণের একটি বড় চালান অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার হবে। তথ্যের ভিত্তিতে কায়বা বিওপির একটি বিশেষ টহল দল শার্শা থানাধীন টেংরা গ্রাম বালুন্ডা পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে। তল্লাশি অভিযানে ১০টি স্বর্ণের বার এবং ১টি মোটর সাইকেলসহ হাসানুজ্জামানকে আটক করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক,মহেশপুর থেকে জানান, ৬টি সোনারবারসহ রাসেল (২৫) আটক হয় বিজিবি সদস্যদের হাতে। সোমবার সন্ধ্যায় মহেশপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী বড়বাড়ি গ্রামের বাহার ইটভাটার নিকট পাকা রাস্তায় ইজিবাইক চালক রাসেলের পকেট থেকে ৬টি সোনারবারসহ তাকে আটক করা হয়। আটককৃত রাসেল মহেশপুর উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের মৃত রুবেলে হোসেনের ছেলে।
মহেশপুর ৫৮বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক তসলিম মোঃ তারেক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৫৮ বিজিবির নায়েব সুবেদার মাহাবুব হোসেনের নেতৃত্বে একটি টহল দল অভিযান চালিয়ে ৬টি সোনারবারসহ রাসেলকে আটক করে।
আটককৃত রাসেল বিজিবি’র কাছে জানায়, গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে আতাউল হক তাকে যশোর পাঠায়। যশোর লালদিঘিরপাড় থেকে টেলিফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে এক ব্যক্তি তার কাছে একটি ছোট প্যাকেট দিলে সে বহন করে নিয়ে আসছিল। পথিমধ্যে সে বিজিবির হাতে ধরা পড়ে। সে আরো জানায়, সোনা চোরাকারবারি আতাউল হক তাকে মাসে ১৬ হাজার টাকা দেয়। গত ২০ দিনের ব্যবধানে ১২ টি চালানের মাথায় সে ধরা পড়ে বলে বিজিবি জানায়।
বিজিবি আরো জানায়, ৬টি স্বর্ণের বারের ওজন ৫ ভরি ৯৯.৮৫ গ্রাম। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪১ লাখ ৮১ হাজার ১শ’ ৬ টাকা। এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় মামলা হয়েছে।