কাউন্সিলরের অনিবন্ধিত মোটরসাইকেল আটক নিয়ে পুলিশ-জনতা উত্তেজনা

এখন সময়: শুক্রবার, ২৯ মার্চ , ২০২৪, ০২:১২:৩৩ এম

নিজস্ব প্রতিবেদক, মণিরামপুর: মণিরামপুরে পৌর কাউন্সিলর আইয়ুব পাটোয়ারির অনিবন্ধিত মোটরসাইকেল আটক করা নিয়ে ট্রাফিক পুলিশ ও জনতার মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার দুপুরে মণিরামপুর পৌরশহরের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এরপর থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ট্রাফিক পুলিশের দাবি, বুধবার সকাল থেকে তারা ১১ সদস্য ২ থেকে ৩ দলে ভাগ হয়ে মণিরামপুর বাজারে অবৈধ মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছিলেন। দুপুর ১টার দিকে নম্বরবিহীন একটি মোটরসাইকেল চালিয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে আসে এক যুবক। ওই যুবকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলমেট ছিল না। গাড়িটি আটক করে থানায় নিলে আইয়ুব পাটোয়ারি নামে মণিরামপুর পৌরসভার এক কাউন্সিলর আমাদের সাথে এসে বাকবিতণ্ডায় জড়ান।

কাউন্সিলর আইয়ুব পাটোয়ারি বলেন, দুপুরে আমার ব্যবহৃত অ্যাপাচি মডেলের মোটরসাইকেল নিয়ে বিজয়রামপুরের বাড়ি থেকে বাজারে আসে আমার ভাইপো টগর। সে কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে আসলে পুলিশ মোটরসাইকেলটি আটক করে। এরপর টগর আমাকে মোবাইলে বিষয়টি জানায়। আমি মোবাইল পুলিশের কাছে দিতে বলি। তখন আমার পরিচয় পেয়ে পুলিশ সংযোগ কেটে দেন। পরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের কাছে কারণ জানতে চাই।

আইয়ুব পাটোয়ারি আরো বলেন, আমার গাড়ির কাগজপত্র না থাকায় পুলিশ মামলা দিয়েছে। কিন্তু আমার গাড়ি তারা আটক করে থানায় নিলো কেন সেটা আমি পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছি।

স্থানীয়রা বলছেন, প্রায়ই মণিরামপুরে মোটরসাইকেল আটক করতে আসে ট্রাফিক পুলিশ। গাড়ির কাগজপত্র চাওয়ার আগে তারা চাবি কেড়ে নেন। কাগজপত্র দেখানোর সময় না দিয়ে অনেক সময় মামলা লিখে ফেলে। এতে অহেতুক মানুষ হয়রানির শিকার হন। এছাড়া ট্রাফিক পুলিশের সাথে সাদা পোশাকের লোক থাকে। তারা লাঠি হাতে মোটরসাইকেল চালকদের সাথে খারাপ আচরণ করে।

এদিকে বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে ট্রাফিক পুলিশ ও জনতার উত্তেজনার পর ওই জায়গা ছেড়ে দেয় পুলিশ। পরে বিকেলে তাদের থানা মোড়ে অভিযান চালাতে দেখা গেছে।

ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরান হোসেন বলেন, বুধবার বিকেল পর্যন্ত আমরা মণিরামপুরে ৪২ অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করেছি। ৪ মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছি।

তিনি বলেন, আইয়ুব পাটোয়ারির মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ছিল না। যে ছেলেটি মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল তার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলমেট ছিল না। কাগজপত্র না থাকায় মোটরসাইকেলটি আটক করে মনিরামপুর থানায় রাখা হয়েছে।

এসআই ইমরান বলেন, আইয়ুব পাটোয়ারির বাকবিতণ্ডার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এরপর থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ আমাদের সাথে যোগ দিয়েছেন। তার মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেয়া হয়নি। মোটরসাইকেল ছাড়াতে হলে কাউন্সিলরকে আগে গাড়ির নিবন্ধন করতে হবে। সে কাগজপত্র আনার পর চালকের লাইসেন্স ও হেলমেট না থাকায় পৃথক আইনে মামলা দেয়া হবে।