ফুলের মালা নিয়ে কলেজে ফিরলেন লাঞ্ছিত অধ্যক্ষ

এখন সময়: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল , ২০২৪, ০৯:১৬:২১ পিএম

ফরহাদ খান, নড়াইল: ফুলের মালায় সিক্ত হয়েই ৪৬ দিন পর কর্মস্থলে ফিরেছেন নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) স্বপন কুমার বিশ^াস। বুধবার দুপুরে কলেজে আসেন তিনি। এ সময় তাকে কলেজ গেটে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা।

উপস্থিত ছিলেন নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক আবদুস সালাম হাওলাদার, রেজিস্ট্রার মাহমুদ আল হোসেন, আইন বিভাগের পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান, কলেজ মনিটারিং ও মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক রফিকুল আকবর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট অচিন চক্রবর্ত্তী, নড়াইল সদর থানার ওসি (চলতি দায়িত্বে) মাহমুদুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা এসএ মতিন, বীরমুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু, বিছালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হেমায়েত হোসেন ফারুকসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।  

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ^াস বলেন, দীর্ঘদিন পর কলেজে আসতে পারায় খুব ভালো লাগছে। আমার সঙ্গে যে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে, সেটা আমি ভুলে যেতে চাই। সবার সহযোগিতায় এখন থেকে কলেজের সার্বিক কার্যক্রম চালিয়ে যাব। আমার দুঃসময়ে যারা পাশে ছিলেন, তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

এর আগে গত ২৪ জুলাই এক মাস ৫ দিন পর মির্জাপুর কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষে পাঠদান শুরুর মধ্যদিয়ে কলেজটি চালু হয়।

নড়াইল সদর থানার ওসি (চলতি দায়িত্বে) মাহমুদুর রহমান জানান, অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিতসহ সহিংসতার মামলায় এ পর্যন্ত নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে মির্জাপুর কলেজের চার ছাত্র আছে। এরা সবাই কারাগারে আছেন। এদিকে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেফতারকৃত কলেজছাত্র রাহুল রায় দেবও কারাগারে।

পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় নিজের ফেসবুক আইডিতে ভারতের বির্তকিত রাজনৈতিক নেত্রী নূপুর শর্মার ছবি ব্যবহার করে লেখেন-প্রণাম নিও বস ‘নূপুর শর্মা’ জয় শ্রীরাম। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৮ জুন বিক্ষুদ্ধ জনতা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস এবং শিক্ষার্থী রাহুল দেব রায়কে জুতার মালা পরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হলে ১৯ জুন থেকে কলেজটি বন্ধ করে দেয়া হয়।