সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে ধন্দে ক্রেতা

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ , ২০২৪, ০৮:৫৩:০৯ পিএম

মুর্শিদুল আজিম হিরু : বাজারে ভোজ্য তেলের দাম নিয়ে ধন্দে পড়েছে ক্রেতা। সরকার নির্ধারিত দামে কোথাও পাওয়া যাচ্ছেনা। কোম্পানি সয়াবিন তেল দিচ্ছে না এ সুযোগে ইচ্ছামত দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। এ ছাড়া ঊর্ধ্বদামে অপরিবর্তিত আছে নিত্য পণ্যের বাজার। বৃহস্পতিবার শহরের বড় বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে কোম্পানিগুলো। দামে ধন্দের কারণে অনেক মুদি দোকানি সয়াবিন তেল বিক্রি বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। যাদের ঘরে আগের দামের সয়াবিন তেল আছে, সুযোগ বুঝে তিনিও বিক্রি করছেন বেশিদামে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হয় ১শ’৯৫ টাকা। ১শ’৮০ টাকা থেকে ১শ’ ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হয় খোলা সয়াবিন তেল।

ঊর্ধ্বদামে অপরিবর্তিত আছে চালের দাম। প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল বিক্রি হয় ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকা। ৫৬ টাকা থেকে ৫৮ টাকা কেজি বিক্রি হয় বিআর-২৮ চাল। প্রতি কেজি কাজল লতা চাল বিক্রি হয় ৫৮ টাকা থেকে ৬০ টাকা। ৭২ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বাঁশমতি চাল। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয় ৬৫ টাকা থেকে ৭০  টাকা।

বাজারে ইলিশ মাছের সরবরাহ কিছুটা বাড়লেও দাম কমেনি।

প্রতি কেজি বড় সাইজের ইলিশ মাছ বিক্রি হয় ১২শ’টাকা। সাড়ে ৮শ’ টাকা থেকে ৯শ’ টাকা কেজি বিক্রি হয় মাঝারি সাইজের ইলিশ। প্রতি কেজি জাটকা ইলিশ বিক্রি হয় ৩শ’ ৮০ টাকা থেকে সাড়ে ৪শ’টাকা। ১শ’৮০ টাকা থেকে ২শ’৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় রুই মাছ। প্রতি কেজি মৃগেল মাছ বিক্রি হয় ১শ’৮০ টাকা থেকে ২শ’ টাকা কেজি। ১শ’২০ টাকা থেকে ১শ’৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় তেলাপিয়া মাছ। প্রতি কেজি পাঙ্গাশ মাছ বিক্রি হয় ১শ’৩০ টাকা থেকে ১শ’’৪০ টাকা।

বাজারে মরিচের দাম আরও বেড়েছে। পেঁয়াজ-রসুন ও আলুর দাম আগের মত আছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৩৫ টাতা ধেতে ৪০ টাকা। ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয় রসুন।  আমাদনিকৃত রসুন বিক্রি হয় ১শ’৪০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয় ২৬ টাকা থেকে ২৮ টাকা। ২শ’২০ টাকা কেজি বিক্রি হয় মরিচ।

বাজারে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হয় ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা। ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কাঁকরোল। প্রতি কেজি ঢেড়স বিক্রিয় হয় ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা কেজি। ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয় উচ্ছে। প্রতি কেজি কচুরলতি বিক্রি হয় ৬০ টাকা। ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় মিষ্টি কুমড়া। ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বরবটি। প্রতি কেজি ডাটা বিক্রি হয় ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা। ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কুশি। প্রতি পিচ লাউ বিক্রি হয় ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা। ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কচুরমুখি। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয় ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা। ২০ টাকা কেজি বিক্রি হয় পেঁপে। ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় ঝিঙে। প্রতি কেজি ধুন্দল বিক্রি ২০ টাকা। ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয় সবুজ শাক। প্রতি কেজি কলা বিক্রি হয় ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা। ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হয় ওল।

বাজারে ডালের আগের মত আছে। প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হয় ১শ’২৫ টাকা। ১শ’ টাকা কেজি বিক্রি হয় আমদানিকৃত মুসুর ডাল। প্রতি কেজি ছোলার ডাল বিক্রি হয় ৭৫ টাকা। ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হয় বুটের ডাল। প্রতি কেজি মুগের ডাল বিক্রি হয় ১শ’ টাকা থেকে ১শ’৪০ টাকা।