শ্যামনগরে লক্ষাধিক টাকার সরকারি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ

এখন সময়: মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল , ২০২৪, ০৯:৪৭:০৪ পিএম

 

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নে সরকারি খাস জমিতে বেড়ে ওঠা লক্ষাধিক টাকা মূল্যের একটি মেহগনি গাছ কেটে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। মুরাদ গাইন গং’র বিরুদ্ধে ভূমি অফিসের নায়েবের নিষেধ উপেক্ষা করে অবৈধভাবে গাছটি কেটে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুরুলিয়া মৌজায় ১২০ নম্বর দাগে ৩৯ শতক খাস জমির ওপর দীর্ঘদিন আগে সরকারিভাবে মেহগনি, বাঁশসহ বিভিন্ন প্রকার বনজ ও ফলদ গাছ লাগানো হয়। বর্তমানে গাছগুলোর মূল্য প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা। ওই জমিতে বেড়ে ওঠা সবচেয়ে বড় মেহগনি গাছটির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। আর মূল্যবান ওই মেহগনি গাছটি কেটে ভুরুলিয়া গ্রামের মুরাদ আলী গাইন, মতিয়ার গাইন, মিজানুর গাইন ও মোয়াক্ষীর গাইন বিক্রি করে দিয়েছেন। ভুরুলিয়ার কাশিমপুর গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের মাধ্যমে গাছটি কেটে নিয়ে বিক্রি করে দেন তারা।

পরবর্তীতে ভুরুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা গগণ চন্দ্র মন্ডল পিয়ন আরিফুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটার সত্যতা পান এবং গাছের গুড়িগুলো জব্দ করে সেখানে রেখে আসেন। গাছ কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে তিনি সেখান থেকে চলে আসেন। ঘটনা স্থান ত্যাগ করে চলে আসেন।

এর আগেও সরকারি ৩৯ শতক খাস জমি মুরাদ গাইন গং অবৈধভাবে দখল করার পাঁয়তারা করে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। তৎকালীন নায়ের নন্দলাল সরেজমিন তদন্ত করে সরকারি সম্পত্তিতে বেড়ে উঠা ফলদ ও বনজ গাছ না কাটতে মুরাদ গাইন গংদের নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু মুরাদ গাইন গং নিষেধ অমান্য করে মূল্যবান বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। একই অভিযোগে তৎকালনী নায়েব আব্দুল্যাহ আল মামুন সরকারি এ জায়গায় বেড়ে উঠা গাছ কাটতে মুরাদ গাইন গংদের নিষেধ করেন। এদিকে, সম্প্রতি মূল্যবান মেহগনি গাছটি কেটে আত্মসাতের ঘটনা ফাঁস হলে গাছটির গোড়ার ওপরের অংশে মাটির প্রলেপ দিয়ে তার চতুর্দিকে কলা গাছ লাগানো হয়েছে।

ভুরুলিয়া ভূমি অফিসের নায়েব গগণ চন্দ্র মন্ডল বলেন, মূল্যবান মেহগনি গাছটি কেটে আত্মসাৎ করার ঘটনয় আইনি পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।