আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিকেলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে পাঁচ শতাধিক রোগীর চিকিৎসা সেবা

প্রেসবিজ্ঞপ্তি:আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল যশোর ও রাবেজান মঞ্জিলের উদ্যোগে মেহেরপুরে বিনামূল্যে চক্ষু, ডায়াবেটিস, নাক-কান-গলা, চর্ম ও যৌন স্বাস্থ্য ক্যাম্প হয়েছে। শনিবার সকালে মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর শালিকা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

লেফটেনান্ট কর্ণেল (অব) অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াহাবের সভাপতিত্বে ক্যাম্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন মহিউদ্দিন আহমেদ, আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. শেখ মহিউদ্দিন, আদ্-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আব্দুস সবুর ও শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, সরকার গ্রামকে শহর বানানোর কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ইতিমধ্যে মেহেরপুরের প্রতিটি গ্রাম এখন শহর। গ্রামের প্রতিটি রাস্তা পাকা এবং ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, শিঘ্রই মেহেরপুর সরকারি হাসপাতালে বেড এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বৃদ্ধি করা হবে।

তিনি বলেন, স্বাধীন দেশে প্রথম সরকার গঠিত হয়েছিল এই মেহেরপুরের মুজিবনগর থেকে। দেশের প্রথম রাজধানী মেহেরপুরে আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশন নিয়মিত ক্যাম্পের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের চক্ষু ও ডায়াবেটিস সেবায় যে অবদান রেখে চলেছে তা প্রশংসার।

আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. শেখ মহিউদ্দিন বলেন, আমাদের ভাল কাজগুলো হওয়া উচিত মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে। তাহলে আমরা সফল হতে পারবো।

সিভিল সার্জন মহিউদ্দীন আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, সরকারি স্বাস্থ্য সেবা অনেকাংশে যেখানে অপ্রতুল সেখানে আদ্-দ্বীনের মত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

আদ্-দ্বীন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আব্দুস সবুর বলেন, খুলনা বিভাগে দরিদ্র মানুষের অন্ধত্ব নিবারণ করার চেষ্টা করছে আদ্-দ্বীন। সবচেয়ে কম খরচে আমরা যশোরে প্রতিষ্ঠিত ৫শ’ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করছি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আব্দুল মজিদ ও আদ্-দ্বীন চক্ষু প্রকল্পের এজিএম রবিউল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রংধনু বন্ধু পরিষদের সদস্য মজিবর রহমান। 

ক্যাম্পে পাঁচ শতাধিক রোগীকে চক্ষু সেবা দেয়া হয়। এ ছাড়া আরও পাঁচ শতাধিক রোগীকে ডায়াবেটিস, নাক-কান-গলা ও চর্ম রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়। ৫৭ জনকে বাছাই করে ছানী অপারেশনের জন্য যশোরে নেয়া হয়।