মোবাইল ফাইন্যান্সিয়্যাল সাভিস চালু সিম হস্তগত চেয়ারম্যান-মেম্বারদের

বাঘারপাড়ায় ইজিপিপি প্রকল্পের শ্রমিকদের মজুরির ভুয়া মাস্টাররোল অধিদপ্তরে পাঠানোর অভিযোগ

এখন সময়: সোমবার, ২৯ এপ্রিল , ২০২৪, ০৪:৩৭:৫৪ এম

রাকিব হোসেন, বাঘারপাড়া (পৌর) : যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় অতি দরিদ্রের কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) শ্রমিকদের মজুরির একটি ভুয়া মাস্টাররোল অধিদপ্তরের পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। ওই ভুয়া বিল ভাগ-বাটোয়ারা করতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা  ১৮ লাখ টাকা নিয়েছেন। ইতিমধ্যে শ্রমিকদের মোবাইল একাউন্টে বিশ কর্মদিবসের টাকা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের মজুরি যেসব মোবাইল অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে; সেসব নম্বরের সীম চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা তাদের হস্তগত করে নিয়েছেন।

ইজিপিপি প্রকল্পের সর্বশেষ পরিপত্র অনুযায়ী, শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধের জন্য জিটুপি (ডিজিটাল পেমেন্ট) পদ্বতিতে নিজস্ব মোবাইলে (সীম ইস্যু) অ্যাকাউন্ট খোলা থাকতে হবে। প্রতি কর্মদিবসে একজন শ্রমিক ৪০০ টাকা করে মজুরি পাবেন। প্রত্যেক শ্রমিকের একটি জবকার্ডে মজুরিসহ অন্যান্য তথ্য থাকবে।

প্রকল্পের সভাপতি মাস্টার রোল তৈরি করে স্বাক্ষর করবেন। এরপর তদারকি কর্মকর্তা, প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার স্বাক্ষর নিয়ে অনলাইনে হিসাবে জমা দেবেন। এরপর শ্রমিকেরা মোবাইল ব্যাংকি এর মাধ্যমে তাদের হিসাব থেকে টাকা তুলবেন।

শ্রমিকদের অভিযোগ, মোবাইল অ্যাকাউন্ট হিসাব তাদের নামে। কর্মসূচির টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে জমা হয়। কিন্তু যে মোবাইল নাম্বারে তাদের অ্যাকাউন্ট; সেগুলো চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা নিয়ে নিয়েছেন। চেয়ারম্যানের কাছ থেকে তাদের মজুরি নিতে হয়।

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় ইজিপিপি’র ২৭টি প্রকল্পে ২৪ দিন কাজ হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রথম পর্যায়ের কাজ গত ১১ নভেম্বর শুরু করার সরকারি নির্দেশ ছিল। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি ৪০ কর্মদিবস শেষ হবে। এমনভাবে ক্যালেন্ডার প্রস্তুুত করেছিল অধিদপ্তর।

উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন ঘুরে শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কাজ শুরু হয় গত ২ ডিসেম্বর থেকে। কোনো ইউনিয়নে ৪০ দিন কাজ হয়নি। অনেক ইউনিয়নে ২০দিন। আবার কোনো ইউনিয়নে ২২, ২৩ ও ২৪ দিন কাজ হয়েছে। এ কাজে অধিকাংশ ইউনিয়নে প্রকল্পের শ্রমিকেরা অন্পুস্থিত ছিল

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী উত্তম কুমার বিশ্বাস, অভিযোগের বিষয়টি অসত্য ও ভিত্তিহীন দাবি করেছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, ফেব্রুয়ারির ২ তারিখে কর্মসূচির কাজ শুরু হয়েছে। বিশ দিনের বিল পাওয়া গেছে। বাকি বিল এখনও পাওয়া যায়নি। বিল ছাড় করতে চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে ১৮ লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা তান্নি সাংবাদিদের বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।