কৃষ্ণনগরে ছুরিকাহত রিয়াজুল মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে

প্রধান আসামি অধরা, উল্টো চাঁদাবাজির মামলা আসামি পক্ষের

এখন সময়: সোমবার, ২৯ এপ্রিল , ২০২৪, ০৫:৪৮:৫৮ এম

খাজুরা (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে ছুরিকাঘাতে আহত কৃষক রিয়াজুল হোসেন (৩৫) হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এ ঘটনায় মামলার ২০দিন পেরোলেও প্রধান আসামি সুমন হোসেন গ্রেপ্তার হয়নি। উল্টো, বাদী পক্ষের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। কৃষক রিয়াজুল একই গ্রামের মশিয়ার মোল্যার মেজ ছেলে।
গত ২ মার্চ দিবাগত রাতে কৃষ্ণনগর গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাতেই ওই কৃষকের চাচা বায়েজিদ হোসেন তিনজনের বিরুদ্ধে বাঘারপাড়া থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি কৃষ্ণনগর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার সুমন হোসেন (২৮)। অন্য আসামিরা হলেন, সুমনের ছোট ভাই বিপ্লব হোসেন (২৬) ও তাদের বাবা মোস্তফা মন্ডল (৫৫)। তারা দুজন আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২ মার্চ রাত সাড়ে ৮টায় ক্যারাম বোর্ড খেলা নিয়ে মামলার বাদীর বড় ভাই মিলনের সাথে আসামি সুমনের হাতাহাতি হয়। ঘটনার ১৫ মিনিট পর বাদীর ভাইপো রিয়াজুল বাড়ির পাশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে এসে তাকে ঘিরে ফেলে মারপিট শুরু করে আসামিরা। একপর্যায়ে সুমন রিয়াজুলের পেটে ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় তিনি চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামিরা পালিয়ে যান। পরে তাকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে যশোর জেনারেল মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রিয়াজুলকে খুলনায় এবং সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত রিয়াজুলের বৃদ্ধা মা মর্জিনা বেগম বলেন, আমার তিন ছেলের মধ্যে রিয়াজুল একদম সহজ-সরল। পরের জমিতে কাজ করে কোনো রকমে তার সংসারটা চলে। ওরা ছেলেটার পেটে ছুরি মেরেছে। পাকস্থলীতে দুটো ছিদ্র হয়েছে। মুখ দিয়ে খেতে পারছে না। আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মামলার বাদী ও রিয়াজুলের চাচা বায়েজিদ হোসেন জানান, প্রধান আসামি সুমন এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তার বাবা ও ছোট ভাই জামিনে এসে মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। এতে আতঙ্কে দিন পার করছে রিয়াজুলের পরিবার। শুধু তাই নয়; উল্টো বাদীর স্বজনের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছে আসামি পক্ষ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রায়পুর পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) লুৎফর রহমান বলেন, প্রধান আসামি সুমন এখনো পলাতক । তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন জানান, রায়পুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জকে মামলার তদন্তভার দেয়া হয়েছে। অপরাধী যেই হোক না কেন, ছাড় দেয়া হবে না।