বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধের মহানায়ক : মিলন

এখন সময়: সোমবার, ২৯ এপ্রিল , ২০২৪, ১২:৫৫:০৬ এম

নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেছেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিলো বাংলাদেশের ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশ যতদিন টিকে থাকবে ততদিন এই ইতিহাস টিকে থাকবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধের মহানায়ক। মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। মূলত সেইসময়ে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ভাষণে সাধারণ মানুষ যুদ্ধে যাবার সাহস পান। নিজেদের দাবি আদায়ে সোচ্চার হন। অধিকারের বিষয়ে সচেতন হন। ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচন ছিলো স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাথমিক স্তর। তারপর পর্যায়ক্রমে বাঙালিরা স্বাধীনতা বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা শুরু করেন। দেশবাসীর কাছে বঙ্গবন্ধুর সিদ্ধান্তই ছিলো চূড়ান্ত। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধ ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে কারো মনে দিধা-বিভক্তি ছিলো না। বঙ্গবন্ধুর একমাত্র মোহ ছিলো বাংলাকে পাক হানাদার মুক্ত করা। দেশবাসীকে স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলা উপহার দেয়া। এ জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে কারো মনে ফাটল ধরেনি। শুক্রবার (২৯ মার্চ) যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মারুফ হোসেন খোকনের আয়োজনে শহরের পাইপপট্টি রোড়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহিদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মারুফ হোসেন খোকনের সভাপতিত্বে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একরাম উদ দ্দৌলা। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত রহমান বাসিতের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ, দপ্তর সম্পাদক আসিফুদ্দৌলা সরদার কনক, উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদার, সদস্য সামির ইসলাম পিয়াস, অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আয়ুব হোসেন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ইব্রাহিম শরীফ বিন্তু। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আরাফাত রহমান বাসিত।
শহিদুল ইসলাম মিলন আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর একক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আর তার কন্যা শেখ হাসিনার একক সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক মুক্তি পেয়েছে। বাঙালি ভাতের অধিকার পেয়েছে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলা হবে স্মার্ট, ডিজিটাল, সুখি, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা। সেইজন্য দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নিতে হবে।