ঈদ বাজার  

রোদ-গরম উপেক্ষা করে ছুটির দিনে কেনাকাটার ধুম

এখন সময়: মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল , ২০২৪, ০৩:৩৭:৪৩ এম

 

মারুফ কবীর: আর মাত্র দিন কয়েক পর বর্ণিল ঈদ উৎসব। ফলে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের ঈদের বাজার। ফুটপাত থেকে অভিজাত বিপণী; সবখানে ধুম পড়েছে বেচাকেনার। শুক্রবার যশোরে প্রচণ্ড রোদ ও গরমের মধ্যেও পোশাকের দোকানে ভিড় ছিল প্রচুর।

শহরের পোশাকের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা ছিল না এদিন। ভিড় ও গরম উপেক্ষা দলে দলে মানুষ কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করেন। শহরের রাস্তা লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে।

ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের আর কয়েক দিন বাকি। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ক্রেতার চাপ ছিল বেশি। দিনে বেলার চেয়ে ইফতারের পর ক্রেতা সমাগম ছিল অনেক।

আকলিমা খাতুন নামে এক গৃহিণী বলেন, স্বামী চাকুরিজীবী। সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া ‘শপিং’ করার সময় নেই। তাই  বন্ধের দিন শাশুড়ি ও সন্তানের জন্য পোশাক কিনতে এসেছি।

সিটি প্লাজা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি শফিকুর রহমান আজাদ বলেন, শুক্রবারে শপিংমলে ক্রেতাদের ব্যাপক সমাগম অনেক আনন্দের। বছরের এই সময়টায় বেচাকেনা হয় সর্বাধিক। ঈদ ঘনিয়ে আসায় ক্রেতারা কেনাকাটা দ্রুত সেরে নিচ্ছেন। প্রত্যাশা অনুযায়ী ক্রেতা সমাগমে খুশি ব্যবসায়ীরা।

যশোর শাড়ি কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তন্ময় সাহা বলেন, ঈদের আগে শেষ শুক্রবার হওয়ায় বেশ ভালো বিক্রি হয়েছে। শিশু পোশাক বিক্রেতা রহমান শেখ বলেন, অন্যান্য পোশাকের দোকানের চেয়ে এদিন থেকে শিশু পোশাকের দোকানে বেশি ভিড় ছিল।

মাসুদ রানা নামের ক্রেতা বলেন, অফিস বন্ধ থাকায় ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছি। প্রচুর মানুষের ভিড়ে কেনাকাটা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

স্টেডিয়াম পাড়ার হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী রুবেল শেখ বলেন, ঈদের কেনাকাটা এখন শেষের দিকে। আমাদের এখানে ক্রেতারা আসেন কম দামে ভালো পণ্য কিনতে। কালেক্টরেট মসজিদ মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মঈনউদ্দীন টেনিয়া বলেন, ক্রেতা সমাগম ভালো হচ্ছে। তাই ব্যবসায়ীদের মুখেও হাসি ফুটেছে।

আনোয়ার হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ফুটপাতই একমাত্র ভরসা। পরিবারের সবার জন্য পোশাক কেনাকাটার জন্য বড় শপিংমলে যাওয়ার সাধ্য হয়ে ওঠে না।  ফুটপাতের দোকানগুলোতে এখন অনেক ভালো পণ্য পাওয়া যায়। দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় এখান থেকে কিনতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।

ফুটপাতের পোশাক বিক্রেতা আলী হোসেন বলেন, আমাদের বেচাকেনা প্রতিবারই ভালো। সব জায়গায় দাম বাড়লেও ফুটপাতে খুব বেশি দাম বাড়ে না। সবার সাধ্যের মধ্যে থাকে।