যশোরে ঈদের দুই দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত ২১

এখন সময়: মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল , ২০২৪, ০৪:৫৪:৩২ এম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে ঈদের দিন ও পরের দিনে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় সেনা সদস্যসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। সদর উপজেলার চাঁচড়া চেকপোস্ট, পাঁচবাড়িয়া ও মণিরামপুর উপজেলার বেগারিতলায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও ওই দুইদিনে যশোরের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮ জন আহত হয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তাদের অধিকাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

নিহতরা হলেন, সদরের চাঁচড়া বাজার মোড় এলাকার রবি উল্লাহর ছেলে হাসান আলী (৩৫), বড় বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত মকসেদ মোল্যার ছেলে মকবুল মোল্যা (৭৫) ও বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে রাকিবুল ইসলাম রাব্বি (২৫)।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ এপিল (শুক্রবার) রাত সাড়ে ১১টার দিকে চাঁচড়া চেকপোস্ট থেকে ভ্যান চালিয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন হাসান আলী। এ সময় বেনাপোলগামী এমএল এন্টারপ্রাইজের (ঢাকা মেট্রো-ব- ১৪-৫৪৪২) একটি বাস তাকে ধাক্কা দেয়। সড়কের ওপর ছিটকে পড়ে গুরুতর আহন হন হাসান। স্থানীয়রা তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি আটক করা হলেও চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার পালিয়ে গেছে।

এদিকে, ঈদের দিন (১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে সদরের পাঁচবাড়িয়া মাঠ থেকে ঘাস কেটে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাস্তা পার হচ্ছিলেন মকবুল মোল্যা নামে এক ব্যক্তি। এ সময় দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত মকবুলকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় রেফার করেন। কিন্তু ঢাকায় নেয়ার আগেই মারা যান মকবুল মোল্যা।

একই দিন বিকেল ৪টার দিকে মণিরামপুরের বেগারিতলায় ট্রাকের ধাক্কায় মারা যান সেনাসদস্য রাকিবুল ইসলাম রাব্বি। ঘটনার সময় তিনি মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় দ্রুতগতির একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দিলে তিনি আহত হন। স্থানীয়রা তাকে  উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনেন। এ সময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সেনাসদস্য রাব্বি ঈদের ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন বলে স্বজনরা জানান।

এ ছাড়া এই দুই দিনে যশোরের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ১৮ জন যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের অধিকাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হন।