ঈদ-নববর্ষের ছুটিতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪০ হাজার যাত্রী পারাপার

এখন সময়: মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল , ২০২৪, ০২:০১:৫৮ এম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদ ও পহেলা বৈশাখের টানা ৫ দিনের ছুটিতে যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত ভ্রমণে পাসপোর্ট যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ ছিল। গত ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটির মধ্যে অনেকে ভারতে গিয়েছেন ও আবার কেউ কেউ বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন। ছুটি চলাকালে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে প্রায় ৪০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। গত সোমবার থেকেও অনেকে ভারত থেকে ফিরতে শুরু করেছেন। আর এই যাতায়াতের ক্ষেত্রে কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক যাত্রী।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, এবারের ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের লম্বা ছুটিতে চিকিৎসা, ব্যবসায়, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াত করেছেন মানুষজন। ফলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যাত্রীদের চাপ বাড়ে। যাত্রী নিরাপত্তায় বন্দরে কাজ করছে বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরের নিরাপত্তা কর্মীরা।

ভারতগামী  পাসপোট যাত্রীরা জানান, ভারত ভ্রমণে বাংলাদেশ সরকার নিচ্ছে ১০৫৫ টাকা ভ্রমণ কর। ভিসা ফি বাবদ ভারতীয় দূতাবাস নিচ্ছে ৮৫০ টাকা। ভ্রমণের ক্ষেত্রে বছর বছর এই টাকার পরিমাণ বাড়ালেও সেবা বাড়ানোর দিকে নজর নেই দুই দেশের।

সামিনা খাতুন নামে এক যাত্রী বলেন, লম্বা ছুটি পেয়ে ভারতে গিয়েছিলাম। গতকাল দেশে ফিরেছি। তবে কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

বেনাপোল পোর্ট থানার উপ-পরিদর্শক শঙ্কর কুমার বিশ্বাস বলেন, ঈদের ছুটিতে যাত্রী যাতায়াত বেড়েছে। হয়রানি বন্ধে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, ঈদের ছুটিতে প্রায় ৪০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেছেন। এর মধ্যে ভারতে গেছেন ২৫ হাজার। সোমবার থেকে বাংলাদেশীরা ফিরতে শুরু করেছেন। একদিনে ৫ হাজারের বেশি যাত্রী ফিরেছেন।

বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, যাত্রীসেবা বাড়াতে সম্প্রতি কলকাতায় দুদেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। সেখানে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। আশা করছি যাত্রী সেবা বৃদ্ধিতে নজর দেবেন।

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় প্রতিবছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশে প্রায় ২০ লাখ পাসপোর্টধারী যাতায়াত করেন। ভ্রমণ কর বাবদ বাংলাদেশ সরকারের প্রায় ১০০ কোটি টাকা ও ভিসা ফি বাবদ ভারত সরকারের ১৫০ কোটি টাকা আয় হয়। তবে কাক্সিক্ষত সেবা বাড়েনি।