নিজস্ব প্রতিবেদক, মহেশপুর : মহেশপুর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবগঠিত কমিটিকে ঘিরে বিতর্কের মধ্যেই পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছে ছাত্র সংগঠনের একাংশ। মঙ্গলবার সকালে মহেশপুর উপজেলা ডাক বাংলোর হলরুমে সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলা শাখার নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহ্বায়ক হামিদুর রহমান রানা, সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক জামিল হাসান, মোকলেসুর রহমান ও সাব্বির হোসেনসহ আরও অনেকে। বক্তব্যে হামিদুর রহমান রানা দাবি করেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। আমাদের নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি মহল মিথ্যাচার করছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি পুকুর সংস্কার, জিআরের চাল বাণিজ্য, বালু ব্যবসা ও হাট থেকে চাঁদা আদায়ের মতো কয়েকটি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে উঠেছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। পুকুর খনন বাণিজ্য তিনি আরও জানান, পান্তাপাড়া ইউনিয়নের কুরবান গাজীর পুকুর খনন নিয়ে যে অভিযোগ, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তার সঙ্গে আমার দেখা বা যোগাযোগ পর্যন্ত হয়নি।
সংগঠনের নেতারা অভিযোগ করেন, গত ৪ জুলাই শুক্রবার একটি স্বার্থান্বেষী মহল ‘বিতর্কিত নেতৃত্বের’ অভিযোগ তুলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবঘোষিত কমিটিকে ‘অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। তারা জানান, ওই ঘোষণাটি অবৈধ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক। আমরা এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছি এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিচ্ছি।
এ নিয়ে সংগঠনের অভ্যন্তরে দ্বন্দ্ব ও বিভাজন আরও স্পষ্ট হলো বলে মনে করছেন স্থানীয় শিক্ষার্থীরা। কয়েক দিনের ব্যবধানে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়িয়েছে মহেশপুরে।