কেশবপুর প্রতিনিধি : কেশবপুর ৫ দিনের টানা বৃষ্টিতে পৌর সভার ১২টি গ্রামসহ উপজেলার ৫ হাজার ৮ শত ৯৯ টি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বাড়িঘর ছেড়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কে। ৩৯.৫ হেক্টর জমির আমনের বীজ তলাসহ বিভিন্ন সবজি ও ফসল পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।
গত ৫ দিনের একটানা ভারি বৃষ্টিতে ৩শ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর জানিয়েছে। আর এই পানিতে কেশবপুরের নদ নদীর পানি উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করে নিম্নঅঞ্চলের বাড়িঘর তলিয়ে ইতিমধ্যে মানুষ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। মৌসুমী ধান, পাট, তরকারির সাথে শাক-সবজি সহ আমনের বীজতলা তলিয়ে ৩৯.৫ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেখসোনা খাতুন জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, উপজেলা পানি পদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন নদী ও খালের মুখে স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের সহায়তায় বাঁধ দেয়া হয়েছে, যাতে নতুন করে কোন এলাকা প্লাবিত না হয়। সেই সাথে স্বেচ্ছাশ্রমে উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বিভিন্ন নদ-নদীর কচুরিপানা অপসারণ করা হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবীদের সাথে প্রশাসনের পক্ষেও কাজ শুরু হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের জন্য উপজেলার ভরতভায়না এলাকায় নদীতে ভাসমান এস্কেভেটর দিয়ে পলি অপসনে কাজ শুরু হয়েছে, বুধবার আরো ভাসমান স্কেভেটর হরিহর নদের পলি অপসারণ কাজ শুরু হবে। পৌর এলাকায় বন্যা কবলিত মানুষকে আশ্রয় দেয়ার জন্য ইতিমধ্যে কয়কটা আশায় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন সিকদার জানান, কেশবপুর উপজেলার পানিবদ্ধতা দূর করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে হরিহর ৩৫ কিলকিটার, তেলিগাতি ২০ কিলমিটার, কাশিমপুর ও বড়েঙ্গা ১৮.৫ কিলোমিটার নদী খননে ১৪০ কোটি টাকার প্রকল্প টেন্ডার সম্পন্ন হয়ে রয়েছে, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রত্যাক্ষ সহযোগিতায় এই কাজ করা হবে।
অপরদিকে আপদকালীন পানিবদ্ধতা নিরসনে কেশবপুরের কাশিমপুরে একটি স্কেভেটরের মাধ্যমে খনন কাজ চলছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে হরিহর নদে আরো পাঁচটি ভাসমান স্কেভেটর কাজ শুরু করবে। জরুরি ভিত্ততে এই কাজ শুরু হয়েছে। যা পরে স্টিমেটের মাধ্যমে বিল উত্তোলন করা হবে বলে তিনি জানান।