Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

নড়াইলে জুলাই শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর , ২০২৫, ০৪:৪৭:২৩ এম

নিজস্ব প্রতিবেদক, নড়াইল: ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য প্রকাশের অভিযোগে নড়াইলে সংবাদ সম্মেলন করেছে ‘জুলাই শহীদ পরিবার’ এবং ‘জুলাই যোদ্ধারা’। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নড়াইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জুলাই শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন-আহত জুলাই যোদ্ধা ও জুলাই বিপ্লবী যুব সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ মোস্তাফিজ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-জুলাই শহীদ রবিউল ইসলাম লিমনের স্ত্রী সাবরিনা আক্তার, জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব মাহমুদা সুলতানা রিমি, জুলাই শহীদ রবিউলের চাচা মোল্যা আহমেদ সাঈদ টুলু, জুলাইযোদ্ধা আব্দুর রহমান মেহেদীসহ অনেকে।

এ সময় নিহত রবিউল ইসলাম লিমনের স্ত্রী সাবরিনা আক্তার বলেন, আমার স্বামী মিথ্যা অপবাদ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। তার মৃত্যুর পরও অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে। পরিবারের ওপর মানসিক যন্ত্রণা বাড়ছে।

তিনি বলেন, একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় (প্রথম আলো) গত ১৫ সেপ্টেম্বর ‘জমির বিরোধে খুন, দুর্ঘটনায় মৃত্যু, তবু তারা জুলাই শহীদ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে আমার স্বামীকে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। লিমন শহীদ জুলাই নয়, পত্রিকায় এমন ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। অথচ, আমার স্বামী জুলাই আন্দোলনে শহীদ হয়েছে। তখন আমি চার মাসের গর্ভবতী। স্বামী হারানোর বেদনা সহ্য করে শিশু সন্তানকে বুকে ধারণ করে আমি কোনো মতে জীবনধারণ করছি। এরই মধ্যে পত্রিকার খবরে আমার স্বামীকে ভুল ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের দাবি, প্রকাশিত প্রতিবেদনটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরতে হবে। ভুল তথ্যের জন্য ভুক্তভোগী পরিবার ও শহীদদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করতে হবে।

এদিকে আহত জুলাই যোদ্ধা ও জুলাই বিপ্লবী যুব সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ মোস্তাফিজ বলেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। প্রতিবেদনে জুলাই শহীদ রবিউল ইসলাম লিমনকে ‘ভুয়া জুলাই শহীদ’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যা চরম অপমানজনক।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ঢাকার উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকায় গণঅভ্যুত্থানের সময় রবিউল ইসলাম লিমন এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ছিলেন এবং এক শিশুকে আহত করেন। পরে উত্তেজিত জনতা তাকে মারধর করে এবং তার মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

তবে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, এটি পুরোপুরি মিথ্যা। রবিউল ইসলাম লিমন সবসময় ছাত্র-জনতার সঙ্গে কাজ করেছেন। যা তার ফেসবুকে আপলোড করেছেন। তার ফেসবুক আইডিতে অনেক ছবি ও ভিডিও আছে, যেখানে তিনি আন্দোলনের সমর্থনে সরব ছিলেন। এমনকি শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করার পর, তিনি সামাজিক মাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে পোস্ট করেছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, রবিউল ইসলাম লিমন ‘প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশন’-এর একজন স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক। তিনি বিনামূল্যে পথশিশুদের শিক্ষাদান করতেন। তার সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির সহকর্মীরা এবং শিক্ষার্থীদের পরিবারও তার মানবিক কাজের সাক্ষী। লিমন নড়াইলের নড়াগাতী থানার ডুমুরিয়া গ্রামের সন্তান। জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার ছিলেন তিনি।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)