শরণখোলা(বাগেরহাট)প্রতিনিধি: : বাগেরহাটের শরণখোলায় বেওয়ারিশ কুকুরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণ। গত দুই দিনে অন্তত ১৫ জন কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। হঠাৎ করে বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
এদিকে, হাসপাতালে প্রায় এক বছর ধরে কোনো অ্যান্টি রেবিস ভ্যাকসিন (জলাতঙ্ক টিকা) নেই। ভ্যাকসিন না পেয়ে আহতদের অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ছুটছেন খুলনা মেডিক্যাল কলেজ অথবা বাগেরহাট সদর হাসপাতালে। এতে চরম ভোগান্তির পাশাপশি সময় ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে আক্রান্তদের পরিবার। কুকুরের কামড়ে আহতরা হলো উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের লামিয়া বেগম (৬০), রুহুল আমিন (৫৫), আমজাদ হোসেন (৬০), বেল্লাল হোসেন (১৬), অহনা (৮), আবু সাইদ (৮), খাদিজা (৬), সিফাত (১০), তাওহীদ হাসান (৮), জিসান (৩), মেহেদী (১২), ইফাদ (৮), রাফি (১৪) ও আরিফা আক্তার (৫)।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিশ্বজিত মজুমদার বলেন, প্রতিদিন ১০-১২ জন করে কুকুর ও বিড়ালের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন। শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। যারা বেশি আক্রান্ত তাদেরকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়।
অ্যান্টি রেবিস ভ্যাকসিন না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. প্রিয় গোপাল বিশ্বাস বলেন, বাগেরহাট সিভিল সার্জন অফিসে ভ্যাকসিনের চাহিদা দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো পাওয়া যায়নি।তবে শীঘ্রই সরবরাহ করবেন কর্তৃপক্ষ বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা চেয়েছেন।