আজগর হোসেন ছাব্বির,দাকোপ: কুমিরের মুখ থেকে কেড়ে নিতে সহযোগীদের প্রাণপণ চেষ্টা সত্ত্বেও বাঁচানো গেল না জেলে সুব্রত মন্ডলকে (৩২)। অবশেষে মৃত্যু হলো দাকোপের ঢাংমারী গ্রামের কাকড়া ধরা জেলে সুব্রত’র। মঙ্গলবার রাতে লাশ মিলেছে সুন্দরবনের করমজল খালে।
নিহত সুব্রত’র পরিবার, এলাকাবাসী এবং বনবিভাগের সংশ্লিষ্ট সুত্র গুলো থেকে জানা যায়, বৈধ পাস পারমিট নিয়ে মঙ্গলবার সুন্দরবনে কাঁকড়া শিকারে যায় ঢাংমারী গ্রামের কুমোদ মন্ডলের পুত্র সুব্রত মন্ডল। এ সময় তার সাথে ছিল অপরাপর ৪ জেলে। সন্ধ্যার আগে বাড়ি ফেরার পথে তারা বনের করমজল খাল পার হয়। এ সময় অপর সহযোগিরা নিরাপদে পার হলেও সুব্রতকে আক্রমণ করে বিশাল আকৃতির এক কুমির। সাথে থাকা জেলেরা কুমিরের মুখ থেকে তাকে কেড়ে নিতে কয়েক মিনিট প্রাণপন চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। সুব্রতের সহযোগী জেলে ইস্রাফিল বয়াতি জানান, সন্ধ্যা নাগাদ কুমিরটি সুব্রতকে মুখে নিয়ে করমজল খালের বিভিন্ন অংশে ঘুরে বেড়ায়। আমরা তাকে অনুসরণ করে পিছু নিয়েছি। কিন্তু সন্ধ্যার পর আর কুমিরটি দেখা যায়নি। এর মধ্যে বনরক্ষিরা খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযানে আসে। এভাবে অনুসন্ধান চলাকালে আনুমানিক ৯ ঘন্টা পর রাতে ঢাংমারীর মোশারফ করমজল খালে ভাসমান অবস্থায় সুব্রতের মরদেহ দেখতে পাই। এ ব্যাপারে বনবিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানায়, বৈধ জেলে হওয়ায় সুব্রতের পরিবার ক্ষতিপূরণ হিসাবে সরকারী সহায়তা পাবে। আমরা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।
জানা গেছে সুব্রত ছিল তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার স্ত্রী বর্তমানে সন্তান সম্ভাবা। উল্লেখ্য গত বছর একই খালে মোশারফ নামে আরেক জেলে কুমিরের আক্রমনে নিহত হয়। এ ছাড়া কালাবগী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে অপর এক জেলে কুমিরের আক্রমণে মারা যায়।