কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : কোটচাঁদপুর উপজেলার জয়দিয়া বাঁওড়ে রানী মাছ মারা যাওয়ার ঘটনায় বাঁওড়টি পরিদর্শন করেছেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দীন ইসলাম। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলার জয়দিয়া বাঁওড়টি ২০২২ সালে সরকারের কাছ থেকে ছয় বছরের জন্য ইজারা নেন সনতোষ হালদার। পরে তিনি বাঁওড়টি মাছ চাষের জন্য বিজয় হালদার ও ষষ্ঠী হালদারের কাছে লিজ দেন। সে সময় থেকেই তারা বাঁওড়টিতে মাছ চাষ করে আসছেন।
গত মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর ২০২৫) বাঁওড়ের মাছের গায়ে উকুন দেখা দিলে উকুননাশক প্রয়োগ করা হয় বলে জানান মাছচাষি ষষ্ঠী হালদার। তার দাবি, বিষ নয়, কেবল উকুননাশক প্রয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু এরপর বাঁওড়ের অধিকাংশ রানী মাছ মারা যায়।
এ ঘটনায় স্থানীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্য ও মাছচাষিদের মধ্যে নানা মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।
জয়দিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাবেক সভাপতি নিত্য হালদার বলেন, আমাদের ধারণা, বাঁওড়ে বিষ প্রয়োগের কারণেই রানী মাছ মারা গেছে। খবর পেয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে মৃত মাছ সংগ্রহ করেছেন এবং জানিয়েছেন বিষয়টি ইউএনও স্যারকে অবহিত করবেন।
তিনি আরও বলেন,“বিষ প্রয়োগে আনুমানিক ৩০০ থেকে ৪০০ মণ মাছ মারা গেছে।
অন্যদিকে, মাছচাষি ষষ্ঠী হালদার বলেন, আমরা শুধু উকুননাশক দিয়েছি, কোনো বিষ নয়। এই ওষুধ আমরা আগে অনেক জায়গায় ব্যবহার করেছি, এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি। হয়তো মাত্রারিক্ত ওষুধ প্রয়োগের কারণে মাছ মারা গেছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দীন ইসলাম বলেন, বাঁওড়ে মাছ মারা যাওয়ার বিষয়টি মৌখিকভাবে জানতে পেরে ইউএনও স্যারকে অবহিত করি এবং বাঁওড় পরিদর্শনে যাই। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ঘটনাটির সত্যতা পাই। বিষয়টি বিস্তারিত প্রতিবেদন আকারে ইউএনও স্যারকে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, বুধবার দুপুর ৩টার দিকে বাঁওড়ে মৃত মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায় নয়ন মণ্ডল (১১) নামের এক শিশু। এ সময় আরও দুই শিশু ইয়ামিন মণ্ডল ও তুহিন মণ্ডল পানিতে ডুবে অসুস্থ হয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়।