কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান “নতুন কুঁড়ি” গানের প্রতিযোগিতায় খুলনা বিভাগ থেকে সেরা পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে কোটচাঁদপুরের ছোট্ট প্রতিভাবান কন্যা শেখ রোদসী রায়ানা (তরিতা)। এখন সেরা দশে জায়গা করে নেওয়ার স্বপ্নে এগিয়ে চলেছে সে। তরিতা সবার কাছে দোয়া চেয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘ বিরতির পর বাংলাদেশ টেলিভিশনে পুনরায় শুরু হয়েছে শিশু প্রতিভা সন্ধানী অনুষ্ঠান নতুন কুঁড়ি। এতে নৃত্য, লোকসংগীত ও আধুনিক গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় কোটচাঁদপুর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী শেখ রোদসী রায়ানা (তরিতা)। সে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাবুল আক্তার (টোকন) ও গৃহিণী শেখ রত্না আক্তারের মেয়ে।
তরিতা তিনটি ইভেন্টে অংশ নিয়ে খুলনা বিভাগের প্রাথমিক বাছাইয়ে সেরা পাঁচের একজন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এখন সে জাতীয় পর্যায়ের সেরা দশে জায়গা করে নেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। সেখানে দেশের আট বিভাগের ৪০ জন প্রতিযোগী অংশ নেবে।
বাবুল আক্তার (টোকন) বলেন,“ছোটবেলা থেকেই তরিতা সাংস্কৃতিকমনস্ক। পরিবার থেকে আমরা সবসময় তাকে উৎসাহ দিয়েছি। তার সংগীতযাত্রা শুরু কোটচাঁদপুর মিতালী সংগীত একাডেমি থেকে। তিন-চার বছর বয়স থেকেই সে সেখানে গান শেখে। তার প্রথম সংগীতগুরু ছিলেন খাজা সামাদ উল্লাহ্ টুটুল।”
তিনি আরও বলেন, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছড়া গানের প্রতিযোগিতায় তরিতা প্রথম স্থান অধিকার করেছে। ২০২৪ সালে শিল্পকলা একাডেমির লোকগান প্রতিযোগিতায়ও সে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম হয়। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতায় ২০২৪ সালে লোকগানে জেলা পর্যায়ে দ্বিতীয় এবং নৃত্যে প্রথম স্থান অর্জন করে। এছাড়া চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায়ও উপজেলা পর্যায়ে একাধিকবার প্রথম হয়েছে।”
তিনি আরও যোগ করেন,“বাংলাদেশ টেলিভিশনের নতুন কুঁড়িতে বিভাগীয় পর্যায়ে সেরা পাঁচে জায়গা পাওয়া আমাদের পরিবারের জন্য গর্বের বিষয়। এখন তার লক্ষ্য সেরা দশে পৌঁছানো। সকলের কাছে দোয়া চাই, যেন সে জাতীয় পর্যায়েও সফল হয়।
তরিতার এই সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন কোটচাঁদপুর মিতালী সাহিত্য সংসদের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, কবি ও কৌতুক অভিনেতা মিতুল সাইফ। তিনি বলেন,“আগামীর প্রজন্মের ভেতরেই লুকিয়ে আছে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ভবিষ্যৎ। হাঁটি হাঁটি পা পা করে তরিতা আজ যে জায়গায় পৌঁছেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তার জন্য রইল অফুরন্ত শুভকামনা।”
তরিতার এ অর্জনে কোটচাঁদপুরের সর্বস্তরের মানুষ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।