নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে ইজিবাইক চালক জাহিদ হোসেন (৩৫) হত্যার একমাত্র আসামি আরেক ইজিবাইক চালক আশরাফুল ইসলাম আশাকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোর। গত বৃহস্পতিবার তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আশার অবস্থান শনাক্ত হওয়ার পর হবিগঞ্জ থেকে তাকে আটক করা হয়।
শুক্রবার বিকেলে আশা এই হত্যার ঘটনার স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। আটক আশা শহরের চারখাম্বার মোড় এলাকার রেজাউল ইসলামের ছেলে। আর নিহত জাহিদুল ইসলাম শহরতলীর পুলেরহাট এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই’র এসআই রতন মিয়া।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে- জাহিদ ও আশা দুইজনই ইজিবাইক চালক এবং পূর্বপরিচিত। প্রায় সময় রাস্তায় দেখা হলে তারা পরস্পর ইজিবাইক চালানোর প্রতিযোগিতায় নামতো। গত ১৮ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে শহরের আশ্রম রোড এলাকায় নিজের ইজিবাইক পরিষ্কার করছিলেন আশা। সে সময় নিহত জাহিদ সেখানে যায়। এবং বাইক চালানো নিয়ে পরস্পর কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে পাশে থাকা একটি কাঠের বাটাম দিয়ে জাহিদের মাথায় বেশ কয়েকটি আঘাত করে। একটি আঘাত মাথার পেছনে ঘাড়ের সামান্য ওপরে লাগে। এতেই সাথে সাথে জাহিদ মাটিতে পড়ে যায়। জাহিদ জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আশা নিজেই তাকে ইজিবাইকে করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদকে মৃত ঘোষণা করলে আশা লাশ ফেলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।
আটক আশা আদালতকে জানিয়েছেন, যশোর থেকে পালিয়ে তিনি হবিগঞ্জে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে পালিয়ে ছিলেন। পুলিশ বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়ে তাকে আটক করে যশোরে নিয়ে আসে।
এসআই রতন মিয়া জানিয়েছেন, ঘটনার পরদিন ১৯ অক্টোবর নিহতের ভাই অহিদ শেখ কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় আশাকে আসামি করা হয়।