কলারোয়া প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক জামালউদ্দিন টুটুলকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা প্রচেষ্টার ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে টুটুলের পরিবার ও এলাকাবাসী। পরে একই ঘটনায় কলারোয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে কলারোয়া প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
পরে সংবাদ সম্মেলনে একই দাবি জানান টুটুলের পিতা শফিউদ্দিন মন্টু। মানববন্ধনে বক্তারা এ ঘটনায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক গাড়িটির মালিক ও চালক এবং কলারোয়া বাজারের শিমুল ফার্মেসির মালিক শিমুলকে দ্রুত বিচারের আইনের আওতায় আনার দাবি করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবদল নেতা ও কলারোয়া প্রেসক্লাবের আহবায়ক তাওফিকুর রহমান সঞ্জু, পৌর বিএনপি নেতা আখলাকুর রহমান শেলি, যুবদল নেতা টুটুলের পিতা শফিউল্লাহ মন্টু প্রমুখ।
পরে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক জামালউদ্দিন টুটুলের পিতা কলারোয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। এর আগে পৌরসভার ঝিকরা গ্রাম থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী-পুরুষ কলারোয়া প্রেসক্লাবের সামনে আসেন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার গভীর রাত পৌনে ১২টার দিকে কলারোয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সোনালী ব্যাংকের সামনে যশোর-সাতক্ষীরা আঞ্চলিক মহাসড়কে বেপরোয়া গতির খয়েরি রঙের প্রাইভেটকারের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক জামাল উদ্দীন টুটুল। এ সময় ছিটকে পড়ে টুটুল গুরুতর আহত হন। তার মাথাসহ শরীরে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। রাস্তা রক্তে ভেসে যায়। তবুও বেপরোয়াগতিতে ড্রাইভার প্রাইভেটকারটি সাতক্ষীরার দিকে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা টুটুলকে উদ্ধার করে প্রথমে কলারোয়া হাসপাতাল ও পরে সাতক্ষীরা হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি বর্তমানে খুলনার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।