স্পন্দন আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরান ও উত্তর কোরিয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধানদের মূল্যায়নের তীব্র সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক ড্যান কোটস ও অন্যান্য গোয়েন্দা প্রধানরা বিশ্বব্যাপী হুমকি বিষয়ে যে মূল্যায়ন দিয়েছিলেন তার প্রতিক্রিয়াতেই ট্রাম্পের এ টুইট, বলছে বিবিসি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তেহরান নিয়ে গোয়েন্দাদের মূল্যায়নে যা বলা হয়েছে, তা ‘নির্বুদ্ধিতা’। পিয়ংইয়ং যে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এখনো হুমকি, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন মূল্যায়নও খারিজ করে দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সিনেটে দেওয়া গোয়েন্দাপ্রধানদের ওই মূল্যায়নে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে না বলে জানানো হয়েছিল। প্রতিবেদনে উত্তর কোরিয়া তার অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করবে না এবং মজুদ অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রকে কখনোই দেবে না বলেও ধারণা দেওয়া হয়।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এ মূল্যায়ন ট্রাম্পের বিদেশনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।তেহরান তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি অব্যাহত রাখায় ও মধ্যপ্রাচ্যে ‘নাক গলানোয়’ যুক্তরাষ্ট্র ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়। তারা তেহরানের ওপর আগের সব নিষেধাজ্ঞাও পুনর্বহাল করে।
ক্ষমতায় বসার পর উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়ালেও গত বছর থেকে ট্রাম্প প্রশাসন পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে টানাপোড়েন কমিয়ে আনতেও আগ্রহ দেখায়।
ওই ধারাবাহিকতাতেই জুনে সিঙ্গাপুরে দুই দেশের ঐতিহাসিক শীর্ষ সম্মেলন হয়। কিমের সঙ্গে বৈঠক শেষে ট্রাম্প সেসময় ‘উত্তর কোরিয়া আর হুমকি নয়’ বলে মন্তব্যও করেছিলেন।
মঙ্গলবার সিনেটে দেওয়া গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মূল্যায়নে চীন ও রাশিয়ার সাইবার হুমকি এবং ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনে দেশ দুটি প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে রিপাবলিকান এ প্রেসিডেন্টের বিরোধের ঘটনা এবারই প্রথম নয়।২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ বিষয়ে গোয়েন্দাদের মূল্যায়ন নিয়েও ট্রাম্প তুমুল সমালোচনা করেছিলেন।
মার্কিন বিচার বিভাগের স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে বছরখানেকেরও বেশি সময় ধরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। ট্রাম্প এ তদন্তকে বারবারই ‘উইচ হান্ট’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন।