স্পন্দন নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশে প্রায় ৮০০টি পর্যটন স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।
রোববার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে বাংলাদেশের বিদ্যমান প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানসমুহে উন্নত অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব পর্যটন সুবিধাদি অন্তর্ভূক্ত থাকবে।
এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বের ৫৩টি দেশের বেসামরিক বিমান চলাচল চুক্তি রয়েছে। বিভিন্ন বিমান সংস্থা বাংলাদেশে সপ্তাহে ৩২৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।
এর মধ্যে ভারত ৫৩টি, ইউএই ৭৮টি, মালয়েশিয়া ৪২টি, সিঙ্গাপুর ১৬টি, ভুটান ৪টি, কাতার ২৯টি, থাইল্যান্ড ২১টি, পাকিস্তান ৪টি, কুয়েত ১২টি, সৌদি আরব ৩১টি, শ্রীলঙ্কা ৭টি, চীন ১৬টি, বাহারাইন ৫টি, আজারবাইজান ৩টি ও ওমান ৪টি।
গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বাংলাদেশ বিমানের লোকসানের পরিমাণ ২০১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
মন্ত্রী বলেন, “উড়োজাহাজের জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির কারণে খরচ বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ও এয়ারক্র্যাফট ক্রু মেইনটেইননেস ইনসুরেন্স (এসিএমআই) ভিত্তিতে উড়োজাহাজ ব্যবহারের কারণে লোকসান হয়েছে।”
নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জানান, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সারাদেশে দুই লাখ ৮৫ হাজার ২৮১ ভূমিহীন পরিবারকে এক লাখ ৫১ হাজার ২৯১ দশমিক ৭৫ একর খাসজমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী বলেন, “ব্যাংকের মাধ্যমে খাজনা (ভূমি উন্নয়ন কর) আদায়ে ২০০৪ সালে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। তবে, প্রকল্পটি নানা কারণে ফলপ্রসূ হয়নি। এই বিষয়টি পুনরায় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ফলাফল সন্তোষজনক হলে ব্যাংকের মাধ্যমে জমির খাজনা আদায়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”