নিজস্ব প্রতিবেদক : জেল কোড অনুযায়ী খালেদা জিয়ার ইফতারের ব্যবস্থা হচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ওই ইফতার তার চাহিদার তুলনায় কম হলে অতিরিক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
তবে ইফতারে খুব বেশি টাকার খাদ্যসামগ্রী মানুষ ব্যবহার করে বলে তার জানা নেই বলেও দাবি করেছেন এই মন্ত্রী।
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজা নিয়ে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তাকে ‘৩০ টাকার’ ইফতার দেওয়া হচ্ছে দাবি করে মঙ্গলবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে আয়োজিত ইফতার পার্টিতে ওই টাকার সমমূল্যের খাবার দেয় বিএনপি।
তাদের এই পদক্ষেপকে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে ‘রাজনীতি করা’ বলে সমালোচনা করেন ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে মেট্রোরেল প্রকল্পের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “রমজান মাসে ইফতারটা একটু ধর্মীয় বিষয়। ইফতারে খুব বেশি টাকার সামগ্রী মানুষ ব্যবহার করে বলে আমার জানা নেই। এটা নিয়ে একটা পলিটিক্স হবে প্রত্যাশা করা যায় না।”
তিনি বলেন, “খালেদা জিয়ার ইফতার জেল কোড অনুযায়ী ব্যবস্থা হয়েছে। এখন জেলে থাকলে তো জেল কোড মেনে নিতে হবে। সে আমরা যেই হই না কেন৷ তিনি কয়েদি সুবিধা ও অসুবিধা জেল কোড অনুযায়ী পাবে।
“এই ব্যবস্থা অনেক আগে থেকেই চালু, জেল যখন থেকে শুরু হয়েছে। তখন থেকেই জেল কোড অনুযায়ী রোজা ও ইফতার হচ্ছে। এটা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে না। রাজনীতি হতে পারে না।”
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমি তারপরও বলি, এই ৩০ টাকার ইফতার খেতে বেগম জিয়ার যদি অসন্তুষ্ট হন, তার চাহিদার তুলনায় একেবারেই কম হয়। ইফতার নিয়ে আপত্তি থাকলে, বেগম জিয়ার যদি কষ্ট হয় তাহলে আমরা কতৃপক্ষকে বলতে পারি, তার জন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থা করতে।
“এটা নিয়ে রাজনীতি ও বিতর্ক করার কিছু নেই৷ আপনি ইফতার করবেন কতটুকু? অনেকে সামান্য পানি দিয়ে ইফতার করে নামাজ পড়ে। খাওয়া দাওয়া নিয়ে যদি বেগম জিয়া কষ্ট পায় তাহলে আমরা অতিরিক্ত ব্যবস্থা করব।”
দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে বিএনপির অভিযোগের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সব সময় বিরোধী দলের চোখে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করে। দেশের জনগণ পরিস্থিতিটা কীভাবে মেনে নিচ্ছে সেটা হলো বড় কথা। আজকে দেখুন রাস্তার অবস্থা, মানুষ যাত্রা নিরাপত্তা চায়, স্বস্তি চায়। এই বিষয়টা এই মুহূর্তে ঘাটতি হচ্ছে বলে জানা নেই।
“বাংলাদেশে এমন কোনো ঘটনা বর্তমানে হচ্ছে না যেটার জন্য পরিস্থিতিটাকে ভয়াবহ বলা হবে। আমার বিশ্বাস, দেশের অবস্থা আরও উন্নত হবে।”