প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের চারজন খেললেন পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। শতরানের জুটি হলো দুটি। তবে দৃঢ় ভিত পাওয়া ইংল্যান্ড শেষটায় তুলতে পারেনি ঝড়। তাই বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য থাকলো হাতের নাগালে।
কেনিংটন ওভালে বৃহস্পতিবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ৩১১ রান করে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই প্রথম তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ গড়লো তারা। আগের সেরা ছিল ১৯৯২ বিশ্বকাপের ৬ উইকেটে ২৫২।
চমক দিয়ে শুরু হয় ম্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় শক্তি তাদের পেস আক্রমণ। তবে প্রথম ওভারে অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি বল তুলে দেন ইমরান তাহিরের হাতে। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ইনিংসের প্রথম ওভারে বোলিং করা এই লেগ স্পিনার শুরুতেই ফিরিয়ে দেন জনি বেয়ারস্টোকে।
বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের প্রথম শতরানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন জেসন রয় ও জো রুট। তবে সম্ভাবনাময় ইনিংসকে পূর্ণতা দিতে পারেননি তারা।
অষ্টাদশ ওভারে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন দুই ব্যাটসম্যান। পরের দুই ওভারে রুট-রয়কে ফিরিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫৩ বলে ৮ চারে ৫৪ রান করা রয়কে থামিয়ে ১০৬ রানের জুটি ভাঙেন আন্দিলে ফেলুকোয়ায়ো। ৫৯ বলে ৫১ রান করা রুটকে বিদায় করেন কাগিসো রাবাদা।
চার বলের মধ্যে দুই থিতু ব্যাটসম্যানকে হারানো ইংল্যান্ড এগিয়ে যায় ওয়েন মর্গ্যান ও বেন স্টোকসের জুটিতে। ক্রিজে গিয়েই বোলারদের ওপর চড়াও হন মর্গ্যান, একটু সময় নেন স্টোকস। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের জুটি জমে যাওয়ার পর রান এসেছে দ্রুত।
৫০ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন মর্গ্যান। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে রিভার্স স্কুপে চার হাঁকিয়ে ৪৫ বলে ফিফটি তুলে নেন স্টোকস। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি ভাঙেন তাহির। লং অনে মর্গ্যানের চমৎকার ক্যাচ মুঠোয় নেন এইডেন মারক্রাম। ৬০ বলে ৫৭ রান করে ফিরেন ইংলিশ অধিনায়ক। ভাঙে ১০৬ রানের জুটি।
রানের গতিতে দম দিতে ইংল্যান্ড তাকিয়ে ছিল জস বাটলারের দিকে। লুঙ্গি এনগিডির বল স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হয়ে ফিরেন এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। মইন আলিকে দ্রুত ফেরান এনগিডি।
১৯৯২ আসরের সেমি-ফাইনালে গ্রায়েম হিকের ৮৩ ছিল এতোদিন বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের কারও ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। তা ছাড়িয়ে ৮৯ রানে থামেন স্টোকস। তার ৭৯ বলের দায়িত্বশীল ইনিংসে তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ গড়ে ইংল্যান্ড।
বারবার বোলিংয়ে পরিবর্তন এনে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের ভাবনার মধ্যে রাখেন দু প্লেসি। দলের ফিল্ডিং ছিল দারুণ। গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে বাঁচিয়েছেন কিছু রান, কয়েকটি ভালো ক্যাচও মুঠোয় নিয়েছেন তারা।
৬৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার এনগিডি। তাহির ও রাবাদা নেন দুটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩১১/৮ (রয় ৫৪, বেয়ারস্টো ০, রুট ৫১, মর্গ্যান ৫৭, স্টোকস ৮৯, বাটলার ১৮, মইন ৩, ওকস ১৩, প্লানকেট ৯*, আর্চার ৭*; তাহির ১০-০-৬১-২, এনগিডি ১০-০-৬৬-৩, রাবাদা ১০-০-৬৬-২, প্রিটোরিয়াস ৭-০-৪২-০, ফেলুকোয়ায়ো ৮-০-৪৪-১, দুমিনি ২-০-১৪-০, মারক্রাম ৩-০-১৬-০)