মিরাজুল কবীর টিটো:
অন্যের সহায়তায় অ্যাপসের মাধ্যমে আবেদনকারী যশোর সদরের কৃষকরা শেষ পর্যন্ত ধান বিক্রি করতে পেরেছেন। বৃহস্পতিবার প্রথম দিনে ৫ জন কৃষক ১ হাজার ৪০ টাকা মণ দরে ৫ হাজার ২শ’ কেজি ধান বিক্রি করেছেন। প্রযুক্তির মাধ্যমে ধান বিক্রি করতে পেরে মহা খুশি কৃষকরা।
খাদ্য গুদাম সূত্র জানায়, চলতি বছর জেলায় আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ লাখ ৮৩ হাজার ৯০৫ মেট্রিক টন । সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে জেলায় ১৫ হাজার ২৩০ মেট্রিক টন ধান কিনবে সরকার । এর মধ্যে অ্যাপসের মাধ্যমে সদরে ২ হাজার ৮২৬ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করবে খাদ্য বিভাগ। এবারই প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে অ্যাপেসের ধান সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছে খাদ্য বিভাগ। এজন্য সদর উপজেলায় কৃষকদের মোবাইল ফোনে ‘কৃষকের অ্যাপ’ ডাউনলোড করার পরামর্শ দেয় খাদ্য বিভাগ। কৃষকরা জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও মোবাইল নম্বর দিয়ে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন করে। কৃষকরা ধানের নাম, জমির পরিমাণ, কী পরিমাণ ধান বিক্রি করতে চান, তা জানিয়ে ঘরে বসেই ২০ ডিসেম্বর ধান বিক্রির আবেদন করেন। এ সময়ের মধ্যে ৯ হাজার কৃষক আবেদন করে। পরে লটারির মাধ্যমে ২ হাজার ১২১ জন কৃষক নির্বাচন করে খাদ্য বিভাগ। নিবন্ধন, বিক্রির আবেদন, বরাদ্দের আদেশ ও মূল্য পরিশোধের সনদ সম্পর্কিত তথ্য এবং বিক্রির তারিখ, গুদামে যাওয়ার নাম সংক্রান্ত তথ্য এসএমএসের মাধ্যমে কৃষকদের জানিয়ে দেয়া হয়। এসএমএস পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সদরের কৃষকরা ধান এনে খাদ্য গুদামে বিক্রি করেন। বিক্রির সময় যে মোবাইল নম্বর দিয়ে অ্যাপসের মাধ্যমে আবেদন করে সেই মোবাইল নম্বর যাচাই করে কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করেছে খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ। গুদামে সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাঁচজন কৃষকরে কাছ থেকে কেনা হয়েছে ৫ হাজার ২শ’ টন ধান। ধান ক্রয়ের টাকা কৃষকদের একাউন্টে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে জানান খাদ্য গুদামের উপ-খাদ্য পরিদর্শক আলাউদ্দীন। তিনি জানান একজন কৃষকের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ মণ ধান ক্রয় করা হবে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারি ভাবে ধান ক্রয়ের কার্যক্রম চলবে। সদরের ইছালী ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল মজিদ জানান তিনি অ্যাপসের মাধ্যমে আবেদন করার বিষয়টা বোঝেন না। তার ছেলে ঢাকায় চাকরি করেন। সে অ্যাপসের মাধ্যমে ধান বিক্রয়ের বিষয়ে আবেদন করে দিয়েছে। এতে অনেক লাভ হয়েছে। আগে হাটে ৬১০ টাকায় মণ বিক্রি করতে হতো। ওই দামে ধান বিক্রি করলে ধান চাষের খরচের টাকা উঠতো না। ধার দেনা করে সার, কীটনাশকসহ অন্যান্য খরচে ব্যয় করতে হতো। এখন সরকারি ভাবে ১ হাজার ৪০ টাকায় ধান বিক্রি করতে পেরে আনন্দ লাগছে। ধানের এই দাম পেলে লোকসান হবে না। তবে কৃষকদের অভিযোগ নসিমনে করে ধান আনতে গেলে রাস্তায় প্রশাসনের কারণে অনেক ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। প্রথমদিনে আসাদুজ্জামান, হৈবতপুরের অহেদুর রহমান, আশিকুর রহমান ধান বিক্রি করেছেন।
- অনলাইন সংস্করণ
সর্বশেষ সংবাদ
৪১ পৌরসভার ফলাফল: দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনেও নৌকার জয়জয়কার
স্পন্দন ডেস্ক : দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনেও নৌকার জয়জয়কার। শনিবার বিস্তারিত....
আ.লীগ নেতা নুরুজ্জামানের সুস্থতা কামনায় নিজ গ্রামবাসীর দোয়া
শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল : শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ বিস্তারিত....
বেনাপোলের টেনা মেম্বারের মৃত্যুতে শেখ আফিল উদ্দিন এমপি’র শোক
শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল : বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের ৪ বারের বিস্তারিত....
মণিরামপুর পৌর নির্বাচনে লড়াই হবে নৌকা ও ধানের শীষের
আব্দুল মতিন ও নূরুল হক, মণিরামপুর : মণিরামপুর পৌরসভার নির্বাচন বিস্তারিত....
মাগুরা শৈলকুপা ও মোংলায় নৌকার জয়
স্পন্দন ডেস্ক: গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে মাগুরা, ঝিনাইদহের শৈলকূপা বিস্তারিত....
-