ইলিশ কিনতে ভিড়

এখন সময়: শুক্রবার, ২৯ মার্চ , ২০২৪, ১২:২১:৫৪ পিএম

মুর্শিদুল আজিম হিরু : সারাদেশের ন্যায় শুক্রবার থেকে যশোরেও ইলিশ ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে আজ ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ বিক্রি ও পরিবহন বন্ধ থাকবে। যশোর শহরের বড় বাজারে জেলা মৎস্য দফতরের মা ইলিশ সংরক্ষণ প্রচার অভিযান-২২ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। নিষেধজ্ঞার খবরে বড় বাজারে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভিড় ছিল ক্রেতাদের। তবে শেষ দিনে ইলশের দাম ছিল চড়া।

এদিকে সবজির দাম কিছুটা কমলেও সরকার নির্ধারিত দামে পাওয়া যাচ্ছে না সয়াবিন তেল। ঊর্ধ্বদামে অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল, পেঁয়াজ-রসুন, আলুসহ অন্যান্য নিত্য পণ্যে। বৃহস্পতিবার শহরের বড় বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সারা দেশের ন্যায় যশোরের ইলিশ মাছ ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ইলিশের প্রজনন নির্বিঘেœ করতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে যশোরের মৎস্য দফতর প্রচারের জন্য শহরের বড়বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে পোস্টার-প্যানা টানিয়ে দিয়েছে।  ইলিশ মাছ ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত। আগামী ২২ দিন বাজারে পাওয়া যাবে না ইলিশ। ফলে বাজারে ইলিশ মাছ ক্রেতাদের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মত। ইলিশ মাছের দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা কম দামের ইলিশ মাছ খুঁজে ফিরেছেন এ দোকান থেকে ও দোকানে। প্রতি কেজি বড় সাইজের ইলিশ মাছ বিক্রি হয় ১২শ টাকা থেকে ১৪শ’ টাকা কেজি। মাঝারি সাইজের ইলিশ মাছ বিক্রি হয় ৮শ’ থেকে ১১ টাকা। এ ছাড়াও সাড়ে ৬শ’ টাকা থেকে সাড়ে ৭শ’ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ইলিশ মাছ। প্রতি কেজি জাটকা ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে সাড়ে ৩শ’ টাকা থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা কেজি। ইলিশ মাছের দাম বৃদ্ধির ফলে স্থানীয় প্রজাতির মাছের দাম অনেক চড়া।  

বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি পটল, কাঁকরোল, ধেড়স বিক্রি হয় ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা।  ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয় উচ্ছে। প্রতি কেজি কচুরলতি বিক্রি হয় ৫০ টাকা। ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় মিষ্টি কুমড়া। ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বরবটি। প্রতি কেজি ডাটা বিক্রি হয় ২০ টাকা । ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কুশি। প্রতি পিচ লাউ বিক্রি হয় ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা। ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয় কচুরমুখি। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয় ৬০ টাকা। ২০ টাকা কেজি বিক্রি হয় পেঁপে। ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় ঝিঙে। প্রতি কেজি ধুন্দল বিক্রি ৩০ টাকা। ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় সবুজ শাক। প্রতি কেজি কলা বিক্রি হয় ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা। ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয় ওল। প্রতিকেজি মুলা বিক্রি হয় ৪০ টাকা কেজি। ১শ’ টাকা কেজি বিক্রি হয় শিম। ৭০ টাকা কেজি বিক্রি ফুলকপি। ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বাধা কপি। ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয় টমেটো। প্রতি কেজি কচুরলতি বিক্রি হয় ৫০ টাকা। ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় পালংশাক।

বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে পাওয়া যাচ্ছেনা সয়াবিন তেল। বেশি দামে কেনা তাই বেশি দামে বিক্রি করছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কোনকোন ব্যাবসায়ী আবার লিটারে আগের চেয়ে ৫ টাকা কমে বিক্রি করছেন।

প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হয় ১শ’৮৫ টাকা থেকে ১শ’৯০ টাকা। ১শ’৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয় খোলা সয়াবিন তেল। ১শ’৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় সুপার পাম তেল।

বাজারে আলু, পেঁয়াজ-রসুন, মরিচের দাম আগের মত আছে।  প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হয় ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা। ৩৮ টাকা থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় পেঁয়াজ। ৫০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয় রসুন। আমাদনিকৃত রসুন বিক্রি হয় ১শ’৪০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয় ২৫ টাকা থেকে ২৭ টাকা। 

বাজারে ডালের দাম বাড়েনি। প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হয় ১শ’২৫ টাকা। ১শ’ টাকা কেজি বিক্রি হয় আমদানিকৃত মুসুর ডাল। প্রতি কেজি ছোলার ডাল বিক্রি হয় ৭৫ টাকা। ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হয় বুটের ডাল। প্রতি কেজি মুগের ডাল বিক্রি হয় ১শ’ টাকা থেকে ১শ’৪০ টাকা।

চালের দাম বাড়েনি। প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল বিক্রি হয় ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকা। ৫৮ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বিআর-২৮ চাল। প্রতি কেজি কাজল লতা চাল বিক্রি হয় ৫৮ টাকা থেকে ৬২ টাকা। ৭৮ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বাঁশমতি চাল। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয় ৬৫ টাকা থেকে ৭০ টাকা।