হঠাৎ নদীগর্ভে বাঁধ, আতঙ্ক

এখন সময়: শনিবার, ২০ এপ্রিল , ২০২৪, ০৪:১১:৪৯ এম

আজগর হোসেন ছাব্বির, দাকোপ: সোমবার ভোরে দাকোপের পানখালী পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় হঠাৎ ১শ’ মিটার বেড়িবাঁধ ঝপঝপিয়া নদী গর্ভে চলে গেছে। তাৎক্ষণিক স্থানান্তরিত হয়েছে বেশ কিছু পরিবার। স্কুল সাইক্লোন শেল্টার ঘরবাড়িসহ অসংখ্য স্থাপনা আছে শতভাগ ঝুৃঁকির মুখে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলাকে দায়ী করেছেন জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী।

পানখালী ১ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারের গাঁ ঘেষে ঝুঁকিতে থাকা ওয়াপদা বেড়িবাধে সোমবার ভোরে ভয়াবহ ধ্বস নামে। মুহূর্তের মধ্যে প্রায় ১শ’ মিটার বাঁধের প্রায় শতভাগ পাশ্ববর্তী ঝপঝপিয়া নদী গর্ভে চলে যায়। ভয়াবহ ভাঙনে এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যে কোন মুহূর্তে বাঁধের অবশিষ্ট অংশ নদী বিলীন হয়ে সমগ্র এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। ভাঙন কুলে থাকা পরিবার গুলো তাদের বসতঘর বাড়ি ও স্থাপনা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়। আমন চাষিরা ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করতে থাকে। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সাব্বির আহমেদসহ জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। তারা উদ্যোগে নিলে তাৎক্ষণিক জিও ব্যাগ ও ছিনথেটিক ব্যাগের মাধ্যমে বালু ফেলে এলাকাবাসী বাঁধ রক্ষার কাজ শুরু করে।

এ ব্যাপারে পানখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সাব্বির আহম্মেদ বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এ বাঁধটিতে ফাঁটল ধরলে আমি পাউবোর সংশ্লিষ্টদের অবহিত করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া অনুরোধ জানাই। কিন্তু তারা সময় মত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন কেবল এই স্থান নয়, গোটা পানখালী ইউনিয়নের বেড়ীবাঁধ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে গোটা ৩১ নং পোল্ডার প্লাবিত হবে। পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুজাত কর্মকার বলেন, তাৎক্ষণিক ভাঙন প্রতিরোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ও ছিনথেটিক ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এ ছাড়া জিও টিউব ও মাটির কাজ করার প্রস্তুতি চলছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু বিশ^াস বলেন, পানখালী ফেরীঘাটের পূর্ব পাশে ঝপঝপিয়া ও পশুর নদীর মোহনায় নদী গর্ভে বিলীন হওয়া পানখালী গ্রামের বাঁধটি পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করাসহ ভাঙন প্রতিরোধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।