ওয়ার্ড বিএনপিনেতা মনিরের অবৈধ বালুর ব্যবসা ঠেকাবে কে ?

এখন সময়: শনিবার, ২০ এপ্রিল , ২০২৪, ০৮:২৬:২৭ এম

শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল: বেনাপোলের সব জায়গায় চলছে বিএনপি নেতা মনির হোসেনের বালু উত্তোলনের মহোৎসব। শার্শা উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তের বালু খেকোদের সাথে পাল্লা দিয়ে বালু তুলে রমরমা বাণিজ্য চালাচ্ছে। বাহাদুরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় একযোগে চলছে বালু তুলে বিক্রির কারবার।

নিজস্ব দুইটি স্কেভেটর ও বহুসংখ্যক ড্রেজার মেশিন দিয়ে ফসলি জমি মাছ চাষের উপযোগী করে ফ্রিতে পুকুর কেটে দেয়ার শর্তে কৌশলে বালু তুলে নিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছেন মনির। 

জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসনের একটি অংশের সহায়তায়  লাগামহীনভাবে বালু উত্তোলন করে মাত্র ১৪ বছরে ফুটপাতের বাসিন্দা থেকে কোটিপতি বনে গেছেন মনির। অবৈধ বালু উত্তোলনের টাকার গরমে বিএনপির দাতা সদস্যের তালিকায় তার স্থান বর্তমানে শীর্ষে। মনির হোসেন বেনাপোল পোর্ট থানার ভবেরবেড় গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে। সরেজমিন দেখা যায়, শার্শা উপজেলার বেনাপোল পোর্ট থানার বাহাদুর ইউনিয়নে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালুর স্তুপ ও বিক্রয় কেন্দ্র করা হয়েছে বাহাদুরপুর বাওড়ের খালের শেষ প্রান্তে সোনামুখো বিল নামক স্থানে। প্রতিদিন বিভিন্ন  মাছের ঘেরে অসংখ্য ড্রেজার মেশিন বসিয়ে হাজার হাজার ফুট সরকারি বালু তুলে লুট করে বিক্রি করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, বেনাপোল পোর্ট থানার বাহাদুরপুর এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মনির হোসেন বাধাহীনভাবে চাষের জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। সরকারি দপ্তরের কতিপয় কর্মকর্তার মনিরকে বিনা বাধায় বালি উত্তোলনের সুযোগ করে দেয়ায় দিনে দিনে এলাকার ফসলি জমিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, বিএনপি নেতা মনির হোসেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তাকে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে উপজেলার বাহাদুরপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। লাগামহীনভাবে ফসলি জমি থেকে ড্রেজার মেশিন চালিয়ে এভাবে বালি তুলতে থাকলে পাশর্^বর্তী অন্যান্য ফসলি জমিগুলো একসময় পতিত জমিতে পরিণত হবে। কিন্তু তার ক্ষমতার দাপটে এলাকাবাসী তার এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডে বিষয়ে  টু-শব্দটি পর্যন্ত করতে পারেন না।

স্থানীয়রা জানান, বেনাপোলের ভবারবেড় ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা মনির হোসেন শতশত বিঘা ফসলি জমি থেকে বালি উত্তোলন ও মাটি খনন করছে। ফসলি জমিতে ফ্রিতে পুকুর কেটে দিয়ে বালু তুলে নিচ্ছে। মোবাইল ফোনে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে মনির হোসন বাহাদুরপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র পাল জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন ও যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।