এইচএসসির বাংলা প্রশ্নে বানান ভুল

শোকজের জবাব দিলেন অভিযুক্তরা

এখন সময়: বুধবার, ২৪ এপ্রিল , ২০২৪, ০৫:০৬:৪৫ পিএম

মিরাজুল কবীর টিটো : চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের বাংলা ১ম পত্রের প্রশ্নে ভুলের ঘটনায় জড়িতরা শোকজের জবাব দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার প্রশ্ন প্রণয়নকারী ও মডারেটররা তাদেরকে করা শোকজের জবাব দেন। যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ গত ১৭ নভেম্বর তাদেরকে শোকজ করে। তবে শোকজের জবাব দেয়ার আগেই যশোর শিক্ষা বোর্ডের পাবলিক পরীক্ষা সংক্রান্ত সব কাজ থেকে তাদেরকে বাদ দেয়া হয়েছে। 

শোকজের জবাবের আগেই তাদেরকে পাবলিক পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র। 

যশোর শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, গত ৬ নভেম্বর সারা দেশে একযোগে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম দিন ছিল বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষা। ঢাকা বোর্ডের বাংলা প্রশ্নে ‘সাম্প্রদায়িক উস্কানির’ ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচনা ঝড় উঠে। এরপর ঢাকা বোর্ড কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন প্রণয়নকারী ও মডারেটর শনাক্ত করে জানতে পারে তারা যশোর বোর্ডের আওতাধীন কলেজের শিক্ষক। শনাক্তের পর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য যশোর বোর্ডের চেয়ারম্যানকে চিঠি দেয় ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। 

পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বোর্ডের প্রশ্নপত্রে বানানে ভুল ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম বোর্ড কর্তৃপক্ষও জড়িতদের শনাক্ত করে জানতে পারে যে, ঢাকা বোর্ডের প্রশ্নে ‘সাম্প্রদায়িক উস্কানির’ সাথে জড়িত মডারেটর এবং তাদের বোর্ডের প্রশ্নে বানান ভুলকারী মডারেটররা একই। শুধুমাত্র প্রশ্ন প্রণয়নকারী অন্য একজন শিক্ষক।

এরপর প্রশ্নপত্রে বানান ভুলের ঘটনায় জড়িতদের শোকজ করতে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড থেকে যশোর শিক্ষা বোর্ডে চিঠি দেয়া হয়। চিঠি পাওয়ার পর যশোর বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র প্রশ্ন প্রণয়নকারী দৌতপুর মহিষাকুন্ডু কলেজের সহকারী অধ্যাপক রুবিনা পারভীন, মডারেটর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম, নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দিন শাওন ও সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শফিকুর রহমানকে শোকজ করেন। গত ১৭ নভেম্বর তাদেরকে শোকজ করা হয়। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তাদেরকে জবাব দিতে বলা হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার তারা শোকজের জবাব দিয়েছেন। 

এ ব্যাপারে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, প্রশ্ন প্রণয়নকারী ও মডারেটররা শোকজের যথাযথ জবাব দিয়েছেন। বোর্ড থেকে প্রশ্ন প্রণয়নের ওপর অভিজ্ঞদের নিয়ে বিষয়টি যাচাইবাছাই করার পর তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।