স্ত্রীকে পুরুষাঙ্গ কাটার মামলায় ফাঁসিয়ে তালাকের পর ফের বিয়ে

এখন সময়: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল , ২০২৪, ০৮:২৬:১৭ এম

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি  : স্ত্রীর বিরুদ্ধে পুরুষাঙ্গ কেটে নেয়ার অভিযোগ তুলে মামলায় ফাঁসানোর পর মেহেদী হাসান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরকীয়া প্রেমিকাকে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে। মিথ্যা মামলায় চার মাস কারাগারে হাজতবাসের পর বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন শারমিন আক্তার নামে এক গৃহবধূ। ঘটনাটি সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার ভারসা গ্রামের।

জানা যায়, তালা উপজেলার মদনপুর গ্রামে নানার বাড়িতে বড় হওয়া শারমিন আক্তারের সাথে ২০১৮ সালে পাটকেলঘাটার ভারসা গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলের মেহেদী হাসানের বিয়ে হয়।  বিয়ের পর  দুই বছর যেতে না যেতেই পাটকেলঘাটার একটি পার্লার কর্মীর সাথে  প্রেমের  সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে মেহেদী। বিষয়টি জেনে ফেলার পর মেহেদী হাসান শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে শুরু করে বলে ভুক্তভোগী শারমিন আক্তারের অভিযোগ। 

তিনি জানান, পরকীয়ার কারণে তার স্বামী মেহেদী হাসান ষড়যন্ত্র করে তাকে মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে।  তার বিরুদ্ধে মেহেদী হাসান পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়ার নাটক সাজিয়ে মামলা দায়ের করেছে। 

সেই মামলায় ৪ মাস জেলে থাকতে হয়েছে। এখন জামিনে এসে মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। 

ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ, আমি যদি তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে থাকি তাহলে গত ২৪ নভেম্বর সে পরকীয়া প্রেমিকাকে বিয়ে করলে কীভাবে। আমার দুই বছরের শিশু পুত্রকে আটকে রেখে গোপনে আমাকে তালাক দিয়ে দেয় মেেেহদী হাসান। আমি আমার পুত্রকে ফিরে পেতে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে মিথ্যা  মামলার তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের  জোর দাবি জানায়। 

এ বিষয়ে মেহেদী হাসানের বাবাব নওয়াব আলী বলেন, আমি শারমিনকে ধৈর্য্য ধরে থাকতে বললেও আমার পুত্রের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়।  এরপর আদালতের মাধ্যমে তালাক করানো হয়েছে। গত ২৪ নভেম্বর  আমার ছেলেকে নতুন করে আবার বিয়ে দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেহেদী হাসানের বক্তব্য জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি ।