একমাত্র রাস্তা নিয়ে দুর্ভোগে বই খোলার বাসিন্দারা

এখন সময়: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল , ২০২৪, ০৫:৪৯:২০ এম

শালিখা (মাগুরা) প্রতিনিধি: মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালী ইউনিয়নের বই খোলা গ্রামের একমাত্র চলাচলের রাস্তাটির সাড়ে তিন কিলোমিটারই কাচা। অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার দশা ধান রোপণ করার উপযোগী ক্ষেতের মতো। গাড়ি দূরে থাক পায়ে হেঁটেও এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা কষ্টসাধ্য। তারপরও প্রয়োজনের তাগিদে রাস্তাটি দিয়ে গ্রামের শত শত মানুষকে বাধ্য হয়ে চলাচল করতে হয়।

২০১৮ সালে বই খোলা গ্রামের রকিব বিশ্বাস নামে একজনের স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠলে রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে তাকে উপজেলা সদর আড়পাড়াতে নেয়ার সময় পথেই তার গর্ভের সন্তান মারা যায়। সাড়ে তিন কিলোমিটারের এই রাস্তা পাকা হওয়া দূরে থাক দীর্ঘ দিনেও এক ঝুড়ি মাটি পর্যন্ত ফেলা হয়নি। যার কারণে বছরের অধিকাংশ সময় রাস্তার কাদা শুকায় না ও চলাচলের অনুপোযোগী থাকে।

স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন রাস্তাটির সংস্কার না হওয়ায় বর্ষাকালে ‘হাবড়ে’ (গভীর কাদা) পরিণত হয়। ফলে চলাচলের একেবারে অনুপোযোগী হয়ে যায়। রাস্তার পাশে যেসব বাড়ি আছে সেসব বাড়ির ওপর দিয়ে কোনরকমে যাতায়াত করে গ্রামের মানুষ। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়টি একদম শেষ প্রান্তে হওয়ায় বর্ষকালে রাস্তায় কাদার কারণে তারা স্কুলে যেতে পারেনা।

বই খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিতা রানী বিশ্বাস বলেন, রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে আমার স্কুলের শিক্ষার্থীরা সময়মত ক্লাসে হাজির হতে পারে না। ফলে লেখা পড়ার প্রতি তারা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ছে। স্কুলের শিক্ষার্থী দিন দিন কমে যাচ্ছে।

গ্রামের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী  আনোয়ার বিশ্বাস  জানান, রাস্তার বেহাল দশার কারণে আমাদের গ্রামের মেয়েদের ভালো কোথাও বিয়ে হয় না। অসুস্থ হলে ঠিক সময়ে ডাক্তারের কছে যেতে পারিনা। ছেলে মেয়েরা ঠিকমত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রসায় যেতে পারে না।

শতখালী ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বর আব্দুল মান্নান শিকদার বলেন, আমি এবছর নতুন নির্বাচিত হয়েছি। আমি রাস্তাটির বেহাল দশা দেখেছি। চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে এই রাস্তাটি যাতে পাকা করা যায় সে ব্যাপারে চেষ্টা করছি।