আশাশুনিতে সড়কে সংস্কার কাজ বন্ধ, ভোগান্তি চরমে

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ , ২০২৪, ০৪:০৪:০৪ পিএম

বিএম আলাউদ্দীন, আশাশুনি : আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা টু বাঁকা সড়ক সংস্কার কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। যানবাহন চলাচালে সমস্যাসহ সড়কের ধুলায় পথচারী ও এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। সড়কটির পাশে অসংখ্য স্কুল, মাদরাসা, দোকান পাট, বসবাসের ঘরবাড়ি, মিল কারখানা রয়েছে। অনেকগুলো সংযোগ সড়কের মানুষও এ সড়ক ব্যবহার করে থাকে। শত শত বাস, মিনিবাস, ইজিবাইক, মটরসাইকেল, ভ্যান, বাই সাইকেল সড়কে চলাচাল করে। যানবাহন চলাচলের সময় সড়কের উপরের গুড়া অংশ উড়ে একাকার হয়ে যায়। পিছনের ও ক্রসিং কারী যানবাহনের যাত্রী, পথচারী, দোকান পাট, ঘরবাড়ি ধুলায় একাকার হয়ে যায়। ফলে এলাকার মানুষ শ্বাসকষ্ট, এলার্জিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের কুল্যার মোড় থেকে গুনাকরকাটি অংশ একবছর আগে কাজ শুরু হলেও প্রায় বছর খানেক পড়ে আছে। ডাবলু, বিএম (ইটের “খ” দিয়ে) এর কাজ করে ফেলে রাখার ফলে উপরিভাগ ধুলা-মাটিতে ছড়াছড়ি হয়ে আছে। কাজটি করছে মেসার্স রাকা এন্টারপ্রাইজ। গুনাকরকাটি থেকে কাদকাটি পর্যন্ত কাজ শুরু হয় প্রায় ৫/৬ মাস আগে। কিন্তু এখানেও একই অবস্থা। এ কাজটি করছে ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ডিজাইন সলিউশন সেন্টার।

সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য ডা. মো. আব্দুল হাকিম বলেন, সড়কে চলাচলকারী মানুষ চরম ভোগান্তিতে আছে। সড়ক নির্মাণ কাজে ধীরগতির কারণে ধুলাবালিতে পথচারীরারা শ্বাসকষ্ট, এলার্জিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তিনি দ্রুত সময়ে সড়কের সংস্কার কাজ শেষ করার দাবি জানান। স্থানীয় স্কুল শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, সড়ক দিয়ে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শত শত শিক্ষার্থী চলাচল করে থাকে। ধুলাবালির পরিমাণ অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। মেসার্স রাকা এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী তপন চক্রবর্তীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। ঢাকা ডিজাইন সলিউশন সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মাহবুবুর রহমান বলেন, সবকিছুর দাম অনেক বেড়ে গেছে। যে কারণে কাজটি শেষ করতে একটু দেরি হচ্ছে। দুই কোটি ৪৫ লক্ষ টাকার কাজে তার প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা লস হবে। মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে ১৫/২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তার অংশের কাজ সম্পন্ন করবেন বলে জানান।

আশাশুনি উপজেলা প্রকৌশলী নাজমুল হোসেন বলেন, একাধিকবার তারা দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলেছেন। কিন্তু কুল্যার মোড় থেকে গুনাকরকাটি ঠিকাদার (রাকা এন্টারপ্রাইজ, তপন চক্রবর্তী) কথা শুনতে চায়না, আজ না কাল বলে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সড়কের কাজ সম্পন্ন না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়ানুর রহমান জানান, জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে বিষয়টি নিয়ে আমি সংশ্লিষ্টদের সাথে একাধিকবার কথা বলেছি। আগামী এক মাসের মধ্যে এ সড়কের কার্পেটিং এর কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।