শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে : বাহাউদ্দিন নাছিম

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ , ২০২৪, ১০:১১:১০ পিএম

আজগর হোসেন ছাব্বির, দাকোপ: সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের পথ হারা বাংলাদেশকে দক্ষ নেতৃত্ব দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আজ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। গ্রামকে করেছেন শহর। বিভিন্ন ধরনের ভাতার আওতায় এনে এ দেশের হতদরিদ্র মানুষদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও পদ্মা সেতু মেট্রো রেলের মত মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়নের সাহস একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পক্ষে দেখানো সম্ভব হয়েছে। দেশের এই অগ্রযাত্রা উন্নয়ন দেখে জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি জামায়াত জোটের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা এখন যে কোন মূল্যে ক্ষমতায় যেতে দেশ বিরোধী নানা ষড়যন্ত্র করছে। তাদের আর সেই সুযোগ দেয়া হবে না। সকল ষড়যন্ত্র আর অশুভ শক্তিকে মোকাবেলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। 

বৃহস্পতিবার খুলনার দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

মোহাম্মদ আলী স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ শেখ হারুনুর রশিদ। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ শেখ আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ রায় ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পঞ্চানন মন্ডলের যৌথ পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলন অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে। শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এবং দেশ বিরোধী সকল চক্রান্ত নস্যাৎ করতে শক্তিশালী সুশৃংখল সংগঠনের কোন বিকল্প নেই। আমরা এক এবং অভিন্ন শেখ হাসিনার অনুসারী। আমাদের মনে রাখতে হবে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশ এগিয়ে যাবে, দেশের জনগণ ভাল থাকবে। বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো বক্তৃতা করেন জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাড. আমিরুল আলম মিলন এমপি, কেন্দ্রীয় নেত্রী অ্যাড. গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এমপি, কেন্দ্রীয়নেতা নির্মল কুমার চ্যাটার্জি। প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সুজিত অধিকারী।

বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. সোহরাব আলী সানা, অ্যাড. কাজী বাদশা মিয়া, অ্যাড. নিমাই চন্দ্র রায়, মোঃ সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, কামরুজ্জামান জামাল, অ্যাড. ফরিদ আহমেদ, সরদার আবু সালেহ, এস এম খালেদীন রশিদী সুকর্ন, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, অ্যাড. নবকুমার চক্রবর্তী, কাজী শামিম আহমেদ, মোল্যা মোজাফ্ফার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মন্ডল, শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল, সাবেক এমপি ননী গোপাল মন্ডল, আশরাফুল আলম খান, খায়রুল আলম, শ্রী নান্টু রায়, রবার্ট নিক্সন ঘোষ, আজগর বিশ্বাস তারা, ফারহানা হালিম, জামিল খান, শিউলী সরোয়ার, এস এম শফিকুল ইসলাম, যুবনেতা চৌধুরী রায়হান ফরিদ, ইঞ্জি. মাহফুজুর রহমান সোহাগ, মহিলা লীগনেত্রী হোসনে আরা চম্পা, নাজনিন নাহার কনা, শেখ আবু হানিফ, এম এম আজিজুর রহমান রাসেল, পারভেজ হাওলাদার, ইমরান হোসেনসহ দাকোপ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।

সম্মেলনের শুরুতে অতিথিবৃন্দ জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। সকাল ১০ টায় সম্মেলন শুরু হয়। তার আগে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা থেকে রং বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন ও টি শার্ট পরে বর্ণাঢ্য মিছিল সহকারে নেতাকর্মিরা সম্মেলনস্থলে জড়ো হয়। দীর্ঘ ৮ বছর পর ক্ষমতাসীন দলের এই সম্মেলনকে ঘিরে চালনা পৌর এলাকা উৎসবের শহরে পরিণত হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি পদে ৩ জন সাধারণ সম্পাদক পদে ৬ জন প্রার্থী হয়। এর মধ্যে সভাপতি পদে সমঝোতার ভিত্তিতে এবং সাধারণ সম্পাদক পদে সমঝোতা না হওয়ায় কাউন্সিলরদের সমর্থনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নির্বাচন করেন। সব শেষে প্রধান অতিথি আলহাজ শেখ আবুল হোসেনকে সভাপতি এবং বিনয় কৃষ্ণ রায়কে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করেন।