সুন্দরবনের অভ্যয়ারণ্যে চলছে মাছ ও কাঁকড়া নিধন

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল , ২০২৪, ০৫:৩৭:০৪ পিএম

 

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের অভ্যয়ারণ্যে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ও কাঁকড়া শিকারের ফলে মৎস্য জাত প্রাণীর প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। মৎস্য শূন্য হতে যাচ্ছে সুন্দরবনের নদী ও খাল।

স্থানীয়রা জানান, সুন্দরবনে মাছ ও কাকড়াঁর প্রজননের জন্য কিছু খাল ও নদীতে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অথচ অভ্যয়ারণ্য এলাকা দোবেকী, পুষ্পকাটি, নোটাবেকী, হলদেবুনিয়া, পাকড়াতলির চর, বালিঝাকি, পাঠকোষ্টা , ডিঙ্গি মারী মেটে, ছায়াসহ কিছু এলাকায় রয়েছে কয়েকশ জেলে নৌকা যারা অভ্যয়ারণ্যে প্রবেশ না করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাশ নিয়ে কোবাদক অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীকে ম্যানেজ করে অভ্যয়ারণ্যে প্রবেশ করে মাছ ও কাঁকড়া আহরণ করছে। এসব কাকড়াঁ ও মাছ শ্যামনগর, কয়রা, আশাশুনির ডিপোগুলোতে সরবরাহ করছে। অবাধে মাছ ধরার কারণে মৎস্যজাত প্রাণীর প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে এবং সুন্দরবন হচ্ছে মৎস্য শুন্য।

জেলেরা জনান, কোবাদক বন অফিসের সহায়তায় এসব এলাকায় প্রবেশ করে অভ্যয়ারণ্যে এলাকায় মাছ ধরছে। একটি জেলে নোকৗয় ৪ জনের পাশ থাকলে সরকারি নিয়মানুযায়ী পাস খরচ ৫২ টাকা হয় অথচ কোবাদক অফিসকে দিতে হচ্ছে ১০ হাজার টাকা। যেসব এলাকায় মাছ বা কাঁকড়া ধরছে যেমন নোটাবেকী পুষ্পকাটি দোবেঁকী, হলদেবুনিয়া কর্মরত বনঅফিসকে আরও ৫ হাজার টাকা করে দিতে হচ্ছে বলে জেলেরা জানান। ফরেস্ট অফিস গুলোতে যারা টাকা দিচ্ছে না তাদেরকে আটক করে বন আইনে মামলা দিয়ে চালান দেয়া হচ্ছে যারা সাপ্তাহিক টাকা দিচ্ছেন তারা বহাল তবিয়তে মাছ বা কাঁকড়া শিকার করে যাচ্ছেন।

ভুক্তভোগী জেলেরা জানান, একসময় সুন্দরবনে বনদস্যু ছিল তখন বনদস্যুদের সাথে দেখা হলে ৩/৪শ টাকা দিলে হত এখন বনবিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারীদের অনেক টাকা দিতে হয়। তারা আরো বলেন, এর চেয়ে বনদস্যুরা অনেক ভাল ছিল। জেলেরা জানান, সহকারী  বন সংরক্ষক ও কোবাদক বন কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ মদদে সুন্দরবনের অভ্যয়ারণ্যে মাছ ও কাঁকড়া শিকার অব্যাহত রয়েছে। লোকালয়ের  কাকড়া ও  মাছের ডিপোতে যে সব মাছ বা কাঁকড়া ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে তা সবই সুন্দরবনের বলে সচেতন মহল দাবি করেছেন। অথচ কোবাদক কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক অস্বীকার  করে জানান, সুন্দরবনে কোন নৌকা প্রবেশ করছে না। যেসব নৌকা প্রবেশ করে অভ্যয়ারণ্যে প্রবেশ করে অভ্যয়ারণ্যে মাছ ধরছে সেসব আটক করে মামলা দেয়া হচ্ছে বলে সহকারী বন সংরক্ষক জানিয়েছেন।