কালিগঞ্জে হয়রানি চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল , ২০২৪, ০৯:৪৭:৫৮ পিএম

 

কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে হয়রানি থেকে রক্ষা পাবার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মোছা. রেক্সোনা খাতুন (২৬) নামে এক গৃহবধূ।

রোববার বেলা সাড়ে ১১ টায় কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলার পূর্ব মৌতলা গ্রামের কুরবান আলীর স্ত্রী মোছা. রেক্সোনা খাতুন জানান, আমার স্বামী দীর্ঘ ৬ বছর যাবত সিঙ্গাপুরে প্রবাস জীবন শেষে বাড়িতে ফিরে বর্তমানে ব্যবসা করছেন। প্রায় ১ বছর আগে সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য আমার স্বামী কুরবান আলীর সাথে মৌতলা গ্রামের ছবেদ আলীর ছেলে শাহিনুর খাঁন, খাঁন ছুন্নত আলীর ছেলে খাঁন রাব্বী হুসাইন ও শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সাকিবুল ইসলাম ওরফে শফিকুল (২৫)এর সাথে যোগাযোগ করেন। এসময় তিনি তাদের বলেন, বর্তমানে সিঙ্গাপুরে থাকি না ্েসজন্য ওখানে যোগাযোগ করে দিতে পারবো না। বিদেশে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করে দিতে তারা নানাভাবে অনুরোধ করতে থাকলে আমার স্বামী তাদেরকে বলেন, আমার শ্যালক নাজমুল ইসলাম কম্বোডিয়ায় চাকরি করে। সেখানে যেতে চাইলে চেষ্টা করে দেখতে পারি। একপর্যায়ে আমার ভাই নাজমুল ইসলামের সাথে এব্যাপারে কথা বলে জনপ্রতি ৩ লাখ টাকা চুক্তিতে ৩ জনকে কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যবস্থা করেন আমার স্বামী কুরবান আলী। মেডিকেল টেস্টসহ অন্যান্য সকল অফিসিয়াল কার্যক্রম সম্পন্ন করে প্রায় ৪ মাস আগে কম্বোডিয়ায় চলে যান শাহিনুর খাঁন ও রাব্বি হুসাইন এবং এর ১ মাস পর কম্বোডিয়ায় পৌছান সাকিবুল ইসলাম। কম্বোডিয়ায় যেয়ে তারা ভিসায় উল্লেখিত কোম্পানিতে কাজে যোগদান করেন। কিছুদিন পর কম্বোডিয়ায় অবস্থানরত শাহিনুর খাঁন, রাব্বি হুসাইন ও সাকিবুল ইসলাম সেখান থেকে চোরাইপথে মালয়েশিয়ার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে কম্বোডিয়ায় কোম্পানি অফিসের কাজে গড়িমসি শুরু করেন। এর মধ্যে সাকিবুল ইসলাম বাংলাদেশে এসে পরবর্তীতে বৈধ পথে মালয়েশিয়া যাবেন এমন পরিকল্পনা করে বাড়িতে ফিরে আসেন এবং আমার স্বামীর সম্পর্কে নানা ভাবে মিথ্যা অপপ্রচার করতে থাকেন। পরবর্তীতে শাহিনুর খাঁন ও রাব্বি হুসাইন কম্বোডিয়া থেকে মালয়েশিয়ায় চোরাইপথে যাওয়ার খরচ বাবদ মৌতলা ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর মীর গাওছুল আজমের ছোট ভাই মীর শাহাদাত হোসেনের মাধ্যমে আমার স্বামীর নিকট ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করে মোট ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। কম্বোডিয়ায় ভিসার যাবতীয় কার্যক্রম সুসম্পন্ন করা ও কোম্পানিতে ডিউটি পাওয়ার পরও অযৌক্তিকভাবে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার টাকা দাবি করায় আমার স্বামী উক্ত টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এনিয়ে শাহিনুর খান ও রাব্বি হুসাইনের অভিভাবকরা স্থানীয় মেম্বর, মহিলা মেম্বর ও চেয়ারম্যান সাহেবের নিকট অভিযোগ জানালে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে তারা তাদের অভিযোগের বিষয়টি প্রমাণ করতে পারেনি। এসময় তাদের অভিভাবক, চেয়ারম্যান, মেম্বর ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কম্বোডিয়ায় অন্য একটি কোম্পানিতে ওই দুইজনকে চাকুরি দেয়ার প্রস্তাব দেন। তাদের দাবি অনুযায়ী পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে অন্য কোম্পানিতে চাকরি দিলে তারা সেই কাজে যোগদান করেনি। উল্টো তারা অযথা মিথ্যা অপপ্রচারের পাশাপাশি আবারও মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য দুইজন ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা দাবি করতে থাকে। আমার স্বামী তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বর্তমানে শাহিনুর খাঁন ও রাব্বি হুসাইন খাঁনের পিতা-মাতা ও অন্যান্যরা মিলে অপপ্রচার, হয়রানি ও মামলা মোকদ্দমা করে ক্ষতি করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন এবং নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। বিদেশী রেমিট্যান্সের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি সম্মৃদ্ধি হয় সেই চিন্তার আলোকে আমার স্বামী ৩ জনকে যথাযথ নিয়ম কানুন অনুসরণ করে কম্বোাডিয়ায় যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। বিদেশে যাওয়া সংক্রান্ত যাবতীয় সকল প্রকার আর্থিক লেনদনে ঢাকাস্থ ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে হওয়ার পরও শাহিনুর খাঁন ও রাব্বি হুসাইনের পরিবার আমার স্বামীর মান সম্মান ক্ষুন্ন করার পাশাপাশি আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, আমার স্বামী বর্তমানে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছেন। স্বামীর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এবং বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক মিথ্যা অভিযোগ ও হয়রানির বিষয়ে প্রতিকার চেয়েছেন।