সরকারি স্কুলের জমি দখল করে মাদরাসা’র সাইন বোর্ড স্থাপন

এখন সময়: বুধবার, ২৪ এপ্রিল , ২০২৪, ০২:৫৭:২৩ এম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, মণিরামপুর: একটি পরিবারের বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা তৈরি করতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের প্রাচীর ভেঙে রাস্তা করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি। বরং এটিকে স্থায়ী করতে প্রবেশ পথে একটি মাদরাসা’র সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে।

মণিরামপুর পৌর শহরের বাঁধাঘাট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৩৭ সালে ৯১ শতক জমির উপর স্থাপিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয় মাঠে সংশ্লিষ্ট দাফতরিক ইষ্ট্রিটিউট অফিসও রয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে মোহনপুর গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম বাচ্চু নামের এক ব্যবসায়ী জমির আংশিক দখলের পর রাস্তা নির্মাণ করে বাড়িতে যাতায়াতের পথ সুগম করে নিয়েছে। জমি দখলের পূর্বে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরটি ভেঙে ফেলা হয়। এ সময় প্রধান শিক্ষক সেলিনা আকতার বানু বাধা দেয়ার চেষ্ঠা করেন। এক পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিতে তিনি লিখিতভাবে বিষয়টি জানান। ঘটনা নিয়ে অবশ্য প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে উদ্যোগ নিলেও রহস্যজনক কারণে তা থেমে যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের প্রাচীর ভেঙে রাস্তা নির্মাণের প্রবেশপথটি স্থায়ী করতে সম্প্রতি দু’পাশে পিলার বসিয়ে ‘মারকাজুত তাহফিজ মডেল বালিকা মাদরাসা’ নামে সাইন বোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়েছে। গৃহবধূ মর্জিনা খাতুন, রবিউল ইসলামসহ অনেকে জানান, প্রবেশ পথে মাদরাসা সাইন বোর্ড থাকলেও ভিতরে কোনো মাদরাসা নেই। কারণ হিসেবে জানতে চাইলে তারা জানান, রাস্তাটি স্থায়ীকরণের জন্য মাদরাসা নাম ব্যবহার করা হয়েছে। বাড়ির মালিক আনোয়ারুল ইসলাম বাচ্চুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মাদরাসাটি আমরা করেছি।

মাদরাসা’র শিক্ষক পরিচয় দানকারী সাইফুল ইসলাম জানান, মাদরাসার জন্য বাড়িটি ভাড়া নেয়া হয়েছে। তবে এখনো পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হয়নি।

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিনা আকতার বানু জানান, অনর্থক বলে লাভ কি! আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং আমার শিক্ষা অফিসারকে লিখিতভাবে জানানো সত্বেরও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইসমত আরা পারভিন জানান, বিষয়টি আগের অফিসারের সময়ের। আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর ফাইলটা এখনো হাতে আসেনি।

একই সুরে কথা বলেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন। তিনি জানান, আমি উপজেলাতে যোগদানের পর ফাইলটি আমার পর্যন্ত পৌঁছায়নি। তবে, ফাইলটি হাতে পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।