Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

একসঙ্গে সংসদ ও গণভোট : ভোটগ্রহণের সময় ও গোপনকক্ষ বাড়ানোর ভাবনা

এখন সময়: মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর , ২০২৫, ১১:৩৪:২১ পিএম

স্পন্দন ডেস্ক : এবার সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে গণভোটও হতে যাওয়ায় ভোটগ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে ভোটকক্ষে ভোট দেওয়ার যে গোপনকক্ষ থাকে তা দ্বিগুণ করার ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে আগামী রোববার অনুষ্ঠেয় কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
তিনি মঙ্গলবার বলেন, “গণভোট ও সংসদ নির্বাচনের ভোটটা সঠিকভাবে, সঠিক সময়ে করার ক্ষেত্রে গণনা যাতে বিলম্বিত না হয়-কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
নিজেদের প্রস্তুতি যাচাই করতে গেল শনিবার ঢাকার শেরে বাংলা নগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটের মহড়া করে ইসি। তাতে দেখা যায়, সংসদ নির্বাচন ও গণভোট পৃথক ব্যালটে হওয়ায় ভোটারদের তুলনামূলক বেশি সময় লাগছে।
সেই অভিজ্ঞতা থেকেই ভোটগ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো এবং ভোটকক্ষের গোপনকক্ষ দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা চলছে জানিয়ে ইসি আনোয়ারুল বলেন, “মক ট্রায়ালে যে অভিজ্ঞতা হলো-ভোটারদের ভোট দিতে একটু সময় লাগে; যার কারণে লাইন লম্বা হয়ে যেতে পারে।
“ভোটগ্রহণ ত্বরান্বিত করতে ভোটকক্ষ দুটি পার্ট করে ডাবল করা যায় কীভাবে-এতে মার্কিং সিল দেওয়ার গোপনকক্ষ বাড়বে। পাশাপাশি ভোটের সময় বাড়াতে পারি কি না আমরা ভাবছি।”
সাধারণত সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টা ভোটগ্রহণ করা হয়ে থাকে। সেই সময় আগে-পরে কিংবা পরে এক ঘণ্টা বাড়িয়ে ৯ ঘণ্টা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এবার প্রায় ৪৩ হাজার ভোটকেন্দ্রে ২ লাখ ৪৪ হাজার ভোটকক্ষ রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। সাধারণত প্রতি কক্ষে ভোট দেওয়ার একটি গোপনকক্ষ থাকে। তবে এবার দুই ব্যালটে ভোট দিতে সময় বেশি লাগায় গোপনকক্ষ দ্বিগুণ করার ভাবনা রয়েছে ইসির।
আলাপচারিতায় আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, রোববারের কমিশন সভায় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময়, বাছাই, প্রত্যাহারের শেষ সময় ও ভোটের দিন চূড়ান্ত করতে চায় ইসি। এরপর আনুষ্ঠানিকতা সেরে সপ্তাহের যেকোনো দিন তফসিল ঘোষণা করা হবে।
আর ভোটের দিন ঠিক করতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের কাছে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের পূর্বাভাস চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
তফসিল ৭ ডিসেম্বরের পর
ইসি কর্মকর্তারা জানান, গণভোটের জন্য সুনির্দিষ্ট দিন ঠিক করে তফসিল হবে। তবে সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমার সময় থেকে ভোটগ্রহণের মধ্যে এবার ব্যবধান দুই মাস রাখতে চায় ইসি। সেক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমা এবং বাছাইয়ে তুলনামুলক বেশি সময় রাখা হতে পারে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তির সময় মাথায় রেখে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় দেওয়া হয়ে থাকে। প্রচারণার জন্য সর্বোচ্চ তিন সপ্তাহ সময় দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে ১৮-১৯ দিন সময় দেওয়া হয়, কারণ ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে শেষ করতে হয় প্রচার।
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার মঙ্গলবার বলেন, “নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। তফসিল ঘোষণার দিন-তারিখও পরবর্তী কমিশন সভায় আমরা বসে সুনির্দিষ্টভাবে সিদ্ধান্ত নেব।”
রোববারের বৈঠকের পরে সেই সপ্তাহর যেকোনো দিন তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
ইসি আনোয়ারুল বলেন, “তফসিল ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের কথা তো আমরা বলে আসছি। সেক্ষেত্রে ৮ ডিসেম্বর থেকে যেকোনো দিন হবে।
“আর ভোটের তারিখও হবে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে-এমন সময়। তফসিল থেকে দুই মাস হিসাব করলে স্পেসিফিক ডেট পাওয়া যাবে।”
কমিশন সভায় তফসিলের বিভিন্ন দিনক্ষণ পর্যালোচনা করে কিছু আনুষ্ঠানিকতা সেরে প্রধান নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত দিনে জাতির উদ্দেশে ভাষণে তা ঘোষণা করবেন বলে জানান তিনি।
কোন বারে ভোট?
ইসি কর্মকর্তারা জানান, সাধারণত সাপ্তাহিক ছুটির কথা বিবেনায় রেখে ভোটের দিন ঠিক করা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার বা শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারকে বেছে নেওয়া হয়। আগের অভিজ্ঞতার আলোকে এবারও ইসি সচিবালয় একাধিক দিন প্রস্তাব রাখবে, যা চূড়ান্ত করবে কমিশন।
এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে ভোট হয়েছিল ষষ্ঠ নির্বাচনে। সেই ভোটগ্রহণের দিন ১৯৯৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ছিল বৃহস্পতিবার। তফসিল থেকে ভোটগ্রহণের সময়ের ব্যবধান ছিল ৫৫ দিন।
>> এবার তফসিল ঘোষণা হবে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে (৮ ডিসেম্বর সোমবার, ৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর বুধবার কিংবা ১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবারের মধ্যে একদিন)।
>>ভোট হবে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ (৮ ফেব্রুয়ারি রোববার, ৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবারের মধ্যে একদিন)।
>> গত ১২টি নির্বাচনের মধ্যে দ্বিতীয়, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ ভোট হয়েছে রোববার; অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচন হয়েছে সোমবার; প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম ও সপ্তম সংসদ নির্বাচন হয়েছে বুধবার। আর চতুর্থ ও ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন বৃহস্পতিবারে হয়েছে।
>> সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল হয়েছিল ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর, আর ভোট হয় পরের বছরের ৭ জানুয়ারি; ব্যবধান ছিল ৫৩ দিনের)। মনোনয়নপত্র জমার সময় ছিল ১৪ দিন, বাছাই ছিল ৪ দিন, প্রত্যাহারের শেষ সময়ের জন্য ছিল ১৩ দিন (এরমধ্যে আপিল দায়ের ৫ দিন, নিষ্পত্তি ৬ দিন)। আর প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে প্রচারণার সময় ছিল ১৯ দিন এবং প্রচার শেষের ৪৮ ঘণ্টা পর ভোট। সেই ভোটগ্রহণ হয় সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)