বৃষ্টির পানিতে ভাসছে কৃষকের স্বপ্ন

এখন সময়: শুক্রবার, ২৯ মার্চ , ২০২৪, ১১:০৫:৩৩ এম

# ২৪ ঘণ্টায় যশোরে ঝরেছে ১২১ মি. মি. 
স্পন্দন ডেস্ক : রাতভর বৃষ্টি। বিকেলেও সেই বৃষ্টি থামার লক্ষণ নেই। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়। এই নিম্নচাপ আরো দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবেই এই বৃষ্টি। ফলে সোমবার সকালে যশোরসহ অনেকস্থানে জলজটের সৃষ্টি হয়। ক্ষেতে জল জমায় ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা বেড়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, আর সূর্যের দেখা মিলতে পারে আজ মঙ্গলবার দুপুরের পর। বিস্তারিত প্রতিনিধিদের রিপোর্টে-
যশোর : ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে দেশের অন্যান্য এলাকার মতো যশোরে সারাদিন বৃষ্টি হওয়ায় ঘর বন্দি হয়ে পড়ে মানুষ। সেই সাথে শহরে অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। জরুরি  প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হয়নি। সারাদিনই শহর ছিল ফাঁকা। বৃষ্টির মধ্যেও ছাতি মাথায় দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে যেতে হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে রোববার সকাল থেকে  গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হতে থাকে। রোববার সন্ধ্যার পর বৃষ্টির হওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। সোমবার ভোর ছয়টা থেকে মুষলধারায় বৃষ্টি হতে থাকে। সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকে। যশোর বিমান বন্দর সংলগ্ন আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে সারা দিন ১২১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি শহরের অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এলাকা গুলো হচ্ছে ষষ্ঠিতলা, বারান্দিপাড়া, কারবালা, ভিআইপি রোড, সিটি কলেজ পাড়া, শংকরপুর বেজপাড়া,খড়কি টার্মিনাল, মোল্লাপাড়া অন্যতম। সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, আব্দুস সামাদ, শামস উল হুদা স্টেডিয়ামসহ শহর,শহরতলির বিভিন্ন এলাকা। পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন বলেন, বেশি বৃষ্টি হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। থেমে গেলে পানি নেমে যাবে।
মুষলধারায় বৃষ্টি হওয়ার কারনে দুপুর পর্যন্ত শহর ছিল জনশূন্য । ইজিবাইক, অটোরিকশা কম চলাচল করেছে। বাজারের অনেক দোকান বন্ধ ছিল। স্কুলে ক্লাস হয়নি। দুর্যোগ আবহাওয়ার মধ্যেও সকাল ও দুপুরে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যেতে হয়েছে। 
এদিকে বৃষ্টি কারনে বিপাকে পড়েছে পড়েছে কৃষকরা। খাজুরা দূর্গাপুর এলাকার কৃষক আব্দুল হালিম জানান , মাঠে ধান কাটা রয়েছে। বৃষ্টিতে ক্ষেতের ধান ডুবে গেছে। বেশি সময় পানিতে ডুবে থাকলে ধান ঝরে যাওয়া সহ কল গজায়। এতে করে ক্ষতি হবে। একই কথা  জানান তালবাড়ীয়া গ্রামের আয়ুব হোসেন নামে আরেক কৃষক।   
সাতক্ষীরা:  উপকূলীয় উপজেলা আশাশুনি ও শ্যামনগরের সুন্দরবন সংলগ্ন কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর পানি দেড় থেকে থেকে দুই ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। আকাশ সার্বক্ষণিক মেঘাচ্ছন্ন  ও কুয়াশা ঢাকা থাকায় দুই দিন ধরে সুর্যের দেখা মেলেনি সাতক্ষীরায়। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ মিলি মিটার বৃষ্ঠিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। দুই দিনের টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে জনজীবন। দমকা হওয়া ও মুষলধারে বৃষ্টির ফলে বিপাকে পরেছে খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের তীব্রতা বৃদ্বি পেয়েছে।
চৌগাছা : যশোরের চৌগাছায় অগ্রহায়ণ মাসের অসময়ের বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে ক্ষেতে কাটা আমন ধান এবং রবি শস্যের ক্ষেত। উপজেলার বিস্তৃত ধানক্ষেতে এখন শুধুই পানি আর পানি। কৃষকরা ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছিল। ঠিক সেই সময়ে হঠাৎ গত ২ দিনের বৃষ্টিতে তছনছ হয়ে গেছে কৃষকের সাজানো ফসলের ক্ষেত। 
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৭ হাজার ৮৭৫ হেক্টর জমিতে আমন (উফশী এবং স্থানীয়) আবাদ হয়েছে। ৫৫ শতাংশ ধান এখন পর্যন্ত কৃষকরা ঘরে তুলেছেন। বাকি ৪৫ শতাংশ পাকা ধান মাঠে আছে। এ ৪৫ ভাগের কিছু ধান কেটে শুকানোর জন্য কৃষকরা মাঠে স্তুপ করে রেখে দিয়েছিলো। কাটা ধানের সঙ্গে না কাটা পাকা ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়ায় কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের চাষি লাভলুর রহমান জানান, তার এক একর জমির পাকা আমন ধান কাটতে শ্রমিক থরচ হয়েছে ৬ হাজার ৬০০ টাকা। ধান কেটে মাঠে রাখার পর হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় ২ দিন ধরে পানিতে ডুবে আছে। 
সিংঝুলী ইউনিয়নের সিংহঝুলী গ্রামের প্রান্তিক চাষি মিজানুর রহমান কাটু জানান, তার একবিঘা জমির পাকা ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। একই এলাকার চাষী নজরুল ইসলাম, ফজলুর রহমান মাও. আলী আকবর জানান, তাদের কিছু পরিমান ধান ঘরে তুলতে পেরেছেন বাকি ধান পানিতে ভাসছে। 
এ ছাড়া বৃষ্টিতে রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্র মতে এ বছর ৯ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে আবাদ করা রবি শস্য অসময়ের বৃষ্টিতে প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৩০ ভাগ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। 
কয়েকজন সবজি চাষী জানান, তাদের সম্পূর্ণ সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। তারা বলেন, পানি সরে গেলেও তাদের ক্ষেতের করলা, শিম ও ভেন্টিসহ যে সব সবজি চাষ করেছিলো তা নষ্ট হয়ে যাবে। 
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ইরি ধানের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের চাঁদপাড়া গ্রামের চাষী অধ্যক্ষ আবু জাফর জানান, তিন বিঘা জমিতে ইরি ধান চাষ করার জন্য বীজ তলা তৈরি করে ছিলো। বীজ তলায় চারা কেবল সবুজ রং ধারণ করেছিলো। ২ দিনের বৃষ্টির পানিতে বীজতলা এখন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, এলাকার প্রায় সকল চাষীর বীজতলা নষ্ট হযে যাবে। নতুন বীজতলা তৈরির জন্য বীজধান পাওয়া যাচ্ছেনা। এখন বাজার থেকে চড়া মূল্যে বীজধান ক্রয় করতে হবে। 
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস বলেন, হঠাৎ বৃষ্টিতে মাঠে থাকা আমন ধান ও রবি ফসলের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির তথ্য এখনো সম্পূর্ণ হাতে আসেনি যে কারনে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা এখনি বলা যাচ্ছে না। 
নড়াইল : তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে নড়াইলে ১৮ হাজার ৬৩২ হেক্টর জমির ফসল আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-গম, সরিষা, মুশুড়ি, বোরো ধানের বীজতলা, মরিচ, শাক, বেগুন, মুলা, বাঁধা, ফুল ও ওল কফিসহ শীতকালীন তরকারি। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টি চলমান থাকায় ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। এমনটি জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। 
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নড়াইলের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় জানান, গত তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে এক হাজার ৪৫ হেক্টর জমির শতিকালীন ফসল, ১শ’ ৬২ হেক্টর বোরো বীজতলা, ৫০ হেক্টর জমির মরিচ, ৭হাজার ৭৩০ হেক্টর জমির সরিষা, ৭ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমির মুশুর ডাল এবং ২ হাজার ১শ’ হেক্টর জমির গম ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। বৃষ্টি শেষ হলে ক্ষতির পরিমাণ পুরোপুরি নির্ধারণ করা হবে। 
তিনি আরো জানান, সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শংকা রয়েছে-সরিষা, গম ও মুশুড়ির ডালের। প্রায় ৭০ ভাগ জমিতে এসব ফসল চাষাবাদ করা হয়েছে। এই বৃষ্টিতে এ বছর রবি আবাদ বিলম্বিত হবে। এক্ষেত্রে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে কিনা সংশয় রয়েছে। 
এদিকে, নড়াইল পৌরসভাসহ জেলার নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। 
পাইকগাছা: পাইকগাছা উপজেলায় এ বছর ১৭ হাজার ২৫৩ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। আর ৭/৮ দিনের মধ্যে কৃষকরা এ ফসল ঘরে তুলতে পারতো। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বৃষ্টিতে আমন ধান নিয়ে কৃষকরা ভোগান্তিতে পড়েছে। 
শীত ও অসময়ের বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এখানকার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা। ভ্যান চালক মোঃ বিশে গাজী বলেন, গত দুইদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তায় যাত্রী নেই, রোজগার হচ্ছে না। গরিব মানুষ, বৃষ্টি ও এই ঠান্ডা মাথায় ভ্যান নিয়ে বের হয়েছি। তাই কষ্ট হলেও উপায় নেই। শীতের মধ্যে বৃষ্টিতে জন জীবন স্থবীর হয়ে পড়েছে। পাইকগাছায় ভারী বর্ষণ ও দিনব্যাপী আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থেকে চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে। এতে উপকূলীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। 
কৃষকরা জানান, তাদের ক্ষেতে এখন পাকা আমন ধান কাটতে বাকী রয়েছে। এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি হওয়ায় ধান গাছগুলো হেলে পড়ে অর্ধেক ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।  এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নের ধান কাটা শেষ হয়েছে। গড়ইখালী, চাঁদখালী ইউনিয়নের নিচু এলাকার কিছু ধান ক্ষেতের ধান কাটতে এখনো বাকী আছে। নিচু জায়গাতে হালকা পানি জমলেও ধানের তেমন একটা ক্ষতি হবে না। কৃষকদের নিচু জায়গার ধান ক্ষেতের আইলের উপর রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে ধানের ক্ষতি কম হবে। 
কেশবপুর: কেশবপুরে নিম্নচাপের প্রভাবে অতি বৃষ্টিতে শীতকালীন সবজির ক্ষেত ও বোরো বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। বৃষ্টিপাত হয়েছে ১১০ মিলিমিটার। ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ নিম্নচাপের পরিনত হওয়ায় কেশবপুরে গত ৩৮ ঘন্টায় থেমে থেমে ভারী বৃষ্টির কারণে জীবন যাত্রা থমকে গেছে। বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১১০ মিলিমিটার। কেশবপুর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানাগেছে, অতিবৃষ্টির ফলে কেশবপুরে শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলায় শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছিল ৩৫০ হেক্টর জমিতে যা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া সরিষার ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে ৮৬০ হেক্টর জমি, মুসড়ি ৯৬ হেক্টর জমি। এদিকে বোরোধান আবাদের প্রস্তুতি হিসাবে ইতোমধ্যে কৃষক আগাম হাইব্রীট ধানের বীজতলা তৈরি করেছিলো ৮৫ হেক্টর জমি যা অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে তলিয়ে গেছে। 
কেশবপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ঋতুরাজ সরকার বলেন, অতি বর্ষরণের কারণে কৃষি সেক্টরে শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিপাত আরো বেশি হলে মাছের ঘের ভেড়ির তলিয়ে যাওয়ার ফলে কেশবপুর উপজেলা বোরো মৌসুমে বোরোধানের আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলে আবারও বীজতলা তৈরি করার অনুরোধে করেন তিনি।
কালীগঞ্জ : নি¤œচাপের প্রভাবে গত ৩ দিন ধরে লাগাতর বৃষ্টি হচ্ছে। প্রথম দিন সকালে ছিটেছাটা বৃষ্টি শুরু হলেও রাতে হয়েছে মুষলধারে। এতেই এ উপজেলার সকল আমনের মাঠ পানিতে ভাসছে। সেই সাথে ভাসছে আমনের নাবী ধানও।
প্রথম দিন শনিবার সকালে সরেজমিনে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের বিভিন্ন মাঠে গেলে দেখা যায়,মাঠের পর মাঠে আমন ধান ক্ষেতেই পড়ে ভিজছে। তারমধ্যে কোনটি ক্ষেতে ছড়ানো,কোনটি আটি বাধা,আবার কোনটি না বাধা ধান জমিতে ছড়ানো ছেটানো। এগুলোর ওপর দিয়ে গত ২ দিনে বয়ে যাচ্ছে লাগাতর বৃষ্টি। এর প্রভাবে সব মাঠের ধানক্ষেত এখন পানির নিচে।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসসূত্রে জানাগেছে, চলতি আমন মৌসুমে এ উপজেলার ধানচাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৫’শ হেক্টের। কিন্ত চাষ হয়েছে ১৮ হাজার ৭’শ ৫০ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২’শ ৫০ হেক্টর বেশি জমিতে আমন চাষ হয়েছে। এরমধ্যে মাত্র ৪০ থেকে ৪৫ ভাগ জমির ধান কৃষকেরা ঘরে তুলতে পেরেছেন। বাকি ধানের  ১০ ভাগ মত বাড়িতে এনে পালা দিয়ে রেখেছেন আর গুলো ক্ষেতেই পড়ে ভিজছে।
একাধিক কৃষক জানান, চলতি আমন মৌসুমের ধানে কোন ধরনের কীটপতঙ্গের আক্রমন ছিল না। ইতোমধ্যে যে ধানগুলো মাড়াই করা হয়েছে ফলনও হয়েছে লোভনীয়। ফলে ক্ষেতের ধান কৃষকদেরকে স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। কিন্ত পরপর দ’ুদফার নি¤œচাপের বৃষ্টিতে কৃষকের আমন ধানে অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে।