শাকিলা ইসলাম জুঁই, সাতক্ষীরা : ১০ মাসেও জুলাই ঘোষণাপত্র না হওয়ার ব্যর্থতা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরিতে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র, সাতক্ষীরার নাগরিকদের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, ৫ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরপরই জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরি করা উচিত ছিলো। যা বাংলাদেশের জন্য খুবই জরুরি। ভবিষ্যতে এদেশে যাতে আর কোনো ফ্যাসিস্ট সরকারের জন্ম না হয়, সেজন্য জুলাই ঘোষণাপত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আবশ্যিক। এটি দ্রুত বাস্তবায়ন হওয়া উচিত। ২৪ এর জুলাই -আগস্ট এর আন্দোলনে হাজার হাজার ছাত্র -জনতা রক্ত ঝরিয়েছেন। শহিদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন। তাদের এই রক্ত যাতে বৃথা না যায়, সেজন্য জুলাই ঘোষণা পত্র গুরুত্বপূর্ণ। সংবিধান পরিবর্তনের আগেই জুলাই ঘোষণাপত্র করতে হবে।
আপ বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সদস্য মাসুদ রানার সঞ্চালনায় বক্তারা আরো বলেন, জুলাই আগস্ট এর আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছেন, রক্ত ঝরিয়েছেন তাদের ভুলে গেলে চলবে না। এসমস্ত পরিবারের পাশে সরকারকে দাঁড়াতে হবে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদেরও দাঁড়াতে হবে। খোঁজখবর রাখতে হবে এসব পরিবারগুলোকে। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে দীর্ঘ ১৭ বছরের দুঃশাসন থেকে এদেশের জনগণ মুক্তি পেয়েছেন। এরা আমাদের গর্বিত সন্তান।
ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ) আয়োজিত সাতক্ষীরার নাগরিকদের ভাবনা শীর্ষক আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন, আপ বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সদস্য আসমাউল হুসনা।
প্রধান বক্তা ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, এবি পার্টির সাতক্ষীরার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের, জেলা বিএনপির যুগ্ম সচিব আবুল হাসান হাদী, সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ওমর ফারুক, শিক্ষক সাইফুর রহমান সাঈফ, জুলাই আন্দোলনে আহত জিল্লুর রহমান, আন্দোলনে শহিদ আনাছ বিল্লাহর বড় ভাই আরিফ বিল্লাহ, বৈষম্য বিরোধী কওমী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব মাকসুদুর রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে শহিদ আলম সরদারের স্ত্রী আসমা খাতুন, জামায়াত নেতা জাহিদুল ইসলাম, শিবির নেতা আনিছুর রহমানসহ ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও সুধীজনেরা আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন।