মিরাজুল কবীর টিটো : যশোরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ওপার রেখে দেয়া যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি এক মাসেও। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হলেও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ফলে পূর্বেকার অবস্থায় রয়েছে যানবাহন গুলো।
মাস খানেক আগে সিদ্ধান্ত হয়-রাস্তার ধারে বিভিন্ন যানবাহন বিশেষ করে বাস-ট্রাক রাখলে জরিমানা করাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অথচ সভায় সিদ্ধান্ত হওয়ার পরও রাস্তার ধারে বাস থামিয়ে রাখা বন্ধ হয়নি। বরং শিক্ষা বোর্ডের সামনে, মনিহার-মুড়লী এলাকাসহ বিভিন্ন রাস্তার ধারে বাস থামিয়ে রাখছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এতে করে যানজটসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
গত ১৩ এপ্রিল জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কালেক্টরেট সভা কক্ষে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের সভাপতি মিজানুর রহমান খান বলেন, শিক্ষা বোর্ডে সামনে রাস্তার অর্ধেক অংশ জুড়ে বাস থামিয়ে রাখার কারনে যানজটের সৃষ্ট হচ্ছে। সেখানে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তাব রাখেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন রুপসা ও গড়াই পরিবহন বেপরোয়া চালাচলের কারনে দুর্ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
এসব আলোচনার প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত বেপরোয়া পরিবহন চালানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া ও রাস্তার ধারে বাস থামিয়ে রাখলে জরিমানা করা হবে।
এ সব বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয় কমিটির সভায়। অথচ পার হয়েছে একমাস। কিন্তু সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি। বরং যশোর শিক্ষা বোর্ডের সামনে, খাজুরা বাস স্ট্যান্ড ও মনিহার-মুড়লীসহ বিভিন্ন রাস্তার ধারে বাস রেখে দেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, মনিহার, শিক্ষা বোর্ডের সামনে রাস্তা যখন প্রশাসন যায়, তখন বাস সরিয়ে ফেলা হয়। প্রশাসন চলে গেলে আবার বাস থামিয়ে রাখা হয়। এ সমস্যা সমাধানের জন্য পরিবহন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও মালিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, বাস থামিয়ে রাখলে জরিমানা করা হবে সিদ্ধান্ত হয়। তবে এ বিষয়ে ফলোআপ সভা করার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।