Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

ঝিনাইদহে ২১ দিনের শিশুকে ডোবায় ফেলে হত্যা!

এখন সময়: রবিবার, ১৫ জুন , ২০২৫, ০১:৫৩:১৭ পিএম

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে মুনতাহা নামে ২১ দিনের এক শিশুকে ডোবার পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিশুটির মা তানজীলা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। শনিবার বেলা ৩টার দিকে ঝিনাইদহ সদরের নরহরিদ্রা গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।

মুনতাহা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নরহরিদ্রা গ্রামের মিল্টন বিশ্বাসের মেয়ে। মিল্টন বিশ্বাস গাজীপুরে একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন।

জানা গেছে, শনিবার দুপুরে নিজের ঘরে শিশু মুনতাহাকে নিয়ে শুয়েছিল তার মা তানজীলা খাতুন। কিছুক্ষণ পর বাড়ির অন্য সদস্যরা এসে দেখে মুনতাহা সেখানে নেই। পরে শিশুর মাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন। পরে কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পাশের ডোবা থেকে মুনতাহার লাশ পাওয়া যায়।

স্থানীয় যুবক সোহাগ হোসেন বলেন, ‘২১ দিনের শিশু হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে পানিতে ডুবে মরবে, এটা কোনোভাবেই সম্ভব না। আর ঘটনার সময় বাড়িতে তার মা ছাড়া কেউ ছিল না। ওই মায়ের মোবাইল ফোনটি আমরা নিয়েছি। সেখানে বেশ কিছু কথোপকথন পেয়েছি অন্য একটি ছেলের সঙ্গে। আমাদের ধারণা পরকীয়ার জেরে শিশুটিকে তার মা হত্যা করেছে। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এবং মোবাইল ফোনের তথ্য ঘাঁটলে সব বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে।’

শিশুর দাদি নাসরিন খাতুন বলেন, ‘ঘটনার প্রায় আধা ঘণ্টা আগে বাড়িতে দেখি মুনতাহাকে নিয়ে ওর মা খেলা করছে। কিছু সময় পর ফিরে দেখি তানজীলা (শিশুর মা) ঘুমাচ্ছে, কিন্তু মুনতাহা নেই। পরে খোঁজাখুঁজি করে ডোবায় লাশ মেলে।’ তবে এই শিশুর মৃত্যুর পেছনে তার ছেলের বউ (শিশুর মা) জড়িত কি না সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি তিনি। নাসরিন খাতুন বলেন, ‘পুলিশ তদন্ত করে সঠিক ঘটনা বের করুক। আমরা নাতনি হত্যার সঠিক বিচার চাই।’

তবে মুনতাহার মা তানজীলা খাতুন বলেন, ‘আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। দেখলাম জিনের বেশ ধারণ করে কেউ ওকে (মুনতাহাকে) নিয়ে গেল। এরপর কীভাবে কী হলো বলতে পারছি না।’

শিশুটির মৃত্যুর পর ঘটনাস্থলে গিয়ে মা তানজীলা খাতুনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি হেফাজতে নিলেও এ বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহাফুজুর রহমান।

জেলা পুলিশের মিডিয়া বিভাগের দায়িত্বরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, শিশুটির মৃত্যুর বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে। তার মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বাবা মিল্টন বিশ্বাস এখনো বাড়িতে আসেনি। বাড়ি ওলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর হয়তো বিস্তারিত জানা যাবে।

 

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)