নিজস্ব^ প্রতিবেদক, নড়াইল: যুবলীগ নেতা এখন ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব! এমন অভিযোগ করেছেন পদবঞ্চিত যুবদলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা। এই অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে নড়াইল সদরের মির্জাপুর বাজার এলাকায় এসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন, জেলা যুবদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক আবিদ হোসেন, সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য মনিরুল ইসলাম ও রুমান বিল্লাহ, যুবলীগ নেতা শেখ সাদ্দাম হোসেন, আনিচুর রহমান শেখ, ইকবাল হোসেন, মোকাররম হোসেন, তুফান মীর, রমজান মোল্যা, হাসান শেখ, সাব্বির হোসেন, উজ্জল সমাদ্দারসহ অনেকে।
তাদের অভিযোগ, ২০২১ সালে নড়াইল সদরের বিছালী ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই কর্মী সম্মেলনে ত্যাগী নেতাদের নিয়ে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। তবে, রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিবেশ থাকায় যথাসময়ে কমিটি গঠিত হয়নি। এরপর ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তবে, হঠাৎ করে গত ৫ জুন সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক তরিকুল ইসলাম পিয়াল ও সদস্য সচিব আরিফুল আকবর মিল্টন সাক্ষরিত বিছালী ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি দেখে হতবাক হন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
এই কমিটিতে ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমানের ভাই আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য এসএম কামাল হোসেনকে আহবায়ক এবং যুবলীগ নেতা হাসানুর রহমানকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটিতে ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানকে ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্মআহবায়ক, যুবলীগ নেতা শেখ ইমরান হোসেন ও সম্রাট বিশ্বাস, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আমিনুর রহমান মল্লিক, আ’লীগ নেতা মকিনুজ্জামান মকিনকে যুবদলের কমিটিতে রাখা হয়েছে।
ঘোষিত নতুন কমিটিতে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের ঠাঁই দেয়ার ফলে যুবদলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা বাদ পড়েছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। অবিলম্বে এ কমিটি বাতিলের দাবি জানান তারা।
এদিকে সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক তরিকুল ইসলাম পিয়াল ও সদস্য সচিব আরিফুল আকবর মিল্টন দাবি করে বলেন, বিছালী ইউনিয়ন যুবদলের কমিটিতে আ’লীগ, যুবলীগ বা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোনো নেতাকর্মীকে ঠাঁই দেয়া হয়নি। আমাদের নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।