Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

রাশিয়ায় পাচারের ঘটনায় ট্রাভেলস মালিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

এখন সময়: বুধবার, ২৫ জুন , ২০২৫, ০৪:০৬:২০ পিএম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর সদরের বড় মেঘলা গ্রামের জাফর হোসেনকে রাশিয়ায় পাচারের ঘটনায় ট্রাভেলস এজেন্সির মালিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মানব পাচার দমন আইনে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার পাচার হওয়ায় জাফরের ভাই বজলুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। মানব পাচার দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) ড. আতোয়ার রহমান অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী ব্যারিস্টার রেফাত রেজওয়ান সেতু।

আসামিরা হলো, ঢাকা দক্ষিণখানের আশকোনা এলাকার ড্রীম হোম ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও নড়াইল কালিয়ার কলাবাড়িয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ার আশরাফ মোল্যার ছেলে এসএম আবুল হাসন, ব্যবসায়িক পাটনার ফাবিহা জেরিন তামান্না, ব্যবসায়িক পাটনার আলমগীর হোসাইন ওরফে দেলোয়ার ও ঢাকা নয়া পল্টন এলাকার ভ্যাকেশন প্লানারের প্রোপাইটার শফিকুল রহমান।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০২৪ সালে যশোর সদরের বড় মেঘলা গ্রামের মাহাবুর রহমান আসামিদের মাধ্যমে জাফরকে সাইপ্রাস পাঠানোর চুক্তি করে ছিলেন। সাইপ্রাসে শ্রমিক ভিসা বন্ধ হওয়ায় জাফরকে পাঠানো সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে আসামি আবুল হাসান ও তামান্না ৭ লাখ টাকায় দ্রুত সময়ে জাফরকে রাশিয়ায় পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে পাঠানোর প্রস্তাব দেন। আসামিদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে জাফরের পরিবার ওই বছরের ১৭ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ৭ লাখ ১০ হাজার টাকা দেন। এরপর আসামি আবুল হাসান ও তামান্না তাদের জানান, বাংলাদেশ থেকে সরাসরি রাশিয়া যাওয়ায় যায়না। তাই জাফরকে সৌদি আরব ওমরা হজে নিয়ে সেখান থেকে রাশিয়ায় পাঠানো হবে।

আসামি আবুল হাসান ও তামান্না ওমরা ভিসা সংগ্রহ করে জাফর হোসেনসহ ১০ জনকে সৌদি আরব পাঠান। সৌদিতে জাফর হোসেনসহ অন্যদের গ্রহণ করে আসামি শফিকুর রহমান। সৌদিতে ২ মাস অবস্থানের পর ২২ ডিসেম্বর জাফর হোসেনসহ অন্যদের আসামি শফিকুর রহমান রাশিয়ার সেইন্ট পিটার্সবার্গ শহরে পাঠান। রাশিয়ায় জাফর হোসেনসহ অন্যদের আলমগীর হোসাইন ওরফে দেলোয়ার রিসিভ করেন এবং সেনা ক্যাম্পে চাকরি দেয়া হবে বলে ২০ দিনের ট্রেনিং করতে হবে বলে জানান। জাফরসহ অন্যদের সেনা ক্যাম্পে দিয়ে আসেন দেলোয়ার।

আসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় জাফরসহ অন্যদের সৈনিক হিসেবে রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য এক বছরের চুক্তিতে বিক্রি করে দিয়েছে। ট্রেনিং চলাকালে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আকরাম হোসেন ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যায় এবং দেশে ফিরে আসেন। জাফরসহ অন্যরা যুদ্ধে যেতে রাজি না হওয়ায় রাশিয়ান সেনা অফিসারদের নির্যাতনে তারা যুদ্ধে যেতে বাধ্য হন। যুদ্ধে জাফরের সহকর্মী সোহান মিয়া গত ২০ জুন ড্রোন হামলায় নিহত ও জাফর গুরুতর আহত হয়েছে বলে হোয়াটস অ্যাপে ম্যাসেজ দিয়ে পরিবারকে জানান। বর্তমানে জাফরসহ অন্যরা ইউক্রেনের ডোনেৎস্ক শহরের মাটির নিচে রাশিয়ার আর্মি ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। আসামিরা বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে জাফরসহ অন্যদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রাশিয়ায় পাচার করে বিক্রি করে দিয়েছে।  এ ঘটনায় থানা মামলা অভিযোগ দিলে কর্তৃপক্ষ গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।  

 

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)