নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে প্রসবকালীন ও প্রসবোত্তর রক্তক্ষরণ প্রতিকার ও প্রতিরোধে (প্লাসেন্টা প্রিভিয়া উইথ পাক্রিয়েটা) অধ্যাপক ডা. নিকুঞ্জ বিহারী গোলদারের বিকল্প পদ্ধতির সফলতা বিষয়ে বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার রাতে হোটেল সিটি প্লাজায় প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞদের সংগঠন অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) যশোর জেলা শাখা এই বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হাসানুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোর মেডিকেল কলেজের (যমেক) অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এ এইচএম আহসান হাবীব। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মেনোপজাল সোসাইটির (বিএমএস) সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. এসকে জিন্নাত আরা নাসরিন, যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা.হুসাইন শাফায়াত, যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ রানা ও আদ-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এমদাদুল হক। বৈজ্ঞানিক সেমিনারের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ওজিএসবি যশোর শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. নার্গিস আক্তার।
বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে প্রসবকালীন ও প্রসবোত্তর রক্তক্ষরন প্রতিকার ও প্রতিরোধে আলোচক ছিলেন গাইনী বিভাগের অধ্যাপক ডা. নিকুঞ্জ বিহারী গোলদার। সঞ্চালক ছিলেন ডা. মাশকিয়া জান্নাত প্রিয়তী।
প্রসঙ্গত, সেন্ট্রাল প্লাসেন্টা প্রিভিয়া নাম শুনলেই আঁতকে ওঠেন গাইনী বিভাগের চিকিৎসকরা। প্লাসেন্টা প্রিভিয়া গর্ভবতী নারীদের মধ্যে বিকাশ হওয়া একটি বিরল মেডিকেল অবস্থা। সেন্ট্রাল প্লাসেন্টা প্রিভিয়া আক্রান্ত দুই রোগী
যশোর শহরের নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার টনি মাহমুদের স্ত্রী মনিরা খাতুন (২৬) ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মাহাবুব হোসেনের স্ত্রী নীরা বেগমকে (২৫) বিকল্প পদ্ধতিতে রক্তপাত ছাড়াই অস্ত্রোপচার করে সফলতার রেকর্ড গড়েন ডা. নিকুঞ্জ বিহারী গোলদার। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তিনিই প্রথম এমন পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার করেন।