সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া চরে বিএসএফ’র জোরপূর্বক পুশ করা ৭৮ জনের মধ্যে ৭৫ জন বাংলাদেশিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড এবং বাকি ৩ ভারতীয় নাগরিককে সাতক্ষীরা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উদ্ধার ৭৫ বাংলাদেশীকে মঙ্গলবার (১৩ মে) ১১ টার দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানায় সাংবাদিকদের সাথে প্রেসব্রিফিং শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তারা সবাই মুসলিম নাগরিক ।
শ্যামনগর থানায় অনুষ্ঠিত প্রেসব্রিফিংয়ে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবরার হাসান জানান, গত ৯ মে ভোরে বিএসএফ সুন্দরবনের সমুদ্র সংলগ্ন মান্দারবাড়িয়া চরে ৭৫ বাংলাদেশি এবং ৩ ভারতীয় নাগরিককে পুশইন করা হয়। তাদের অধিকাংশ দীর্ঘদিন যাবৎ ভারতের গুজরাট রাজ্যে বসবাস করে আসছিল এবং বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
প্রেসব্রিফিংয়ে তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত ২৬ এপ্রিল গভীর রাতে ভারতীয় পুলিশ তাদের গুজরাটের বাসা থেকে আটক করে। গত ৯ মে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ভোরে সুন্দরবনের মান্দারবাড়ি চরে রেখে যায়। পরবর্তীতে তারা মান্দারবাড়িয়া চর হতে মান্দারবাড়ি ফরেস্ট অফিসে এসে আশ্রয় নেয়। ফরেস্ট অফিস কোস্টগার্ডকে অবহিত করলে গত ১০ মে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন দ্রুত পুশইন করা ৭৮ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। তাদের প্রয়োজনীয় খাবার ও ঔষধ সামগ্রী সরবরাহ করে সুস্থ করে তোলেন।
শ্যামনগর থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির মোল্লসহ কোস্টগার্ড মংলার পশ্চিমজনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেসব্রিফিং শেষে উদ্ধারকৃত বাংলাদেশী ৭৫ জন কে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকী ৩ জন আব্দুর রহমান (২২), হাসান শাহ (২৪) ও সাইফুল ইসলাম তারা জন্মসূত্র ভারতের গুজরাটের বাসিন্দা। তবে তাদের দাদার বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা ও নড়াইলের কালিয়া গ্রামে। ওই তিন ভারতীয় নাগরিককে বিনা পাসপোর্টে অবৈধভাবে বাংলাদেশের প্রবেশের অপরাধের মামলায় দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়।